বেশ কয়েকদিন ভর্তি থাকার পর সেখান থেকে তাকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে বাঁ পায়ের যে ভয়ানক অবস্থা হয়েছিল,সেটার সামান্য চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। ততদিনে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এরপর গত ২৬ ডিসেম্বর হাবিলকে শিয়ালদহ এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । পরিবারের অভিযোগ,ভর্তির পর থেকে এখনো পর্যন্ত দুবার ড্রেসিং এবং সামান্য কয়েকটি ওষুধ দেওয়া ছাড়া এক প্রকার বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়েছে হাবিলকে।
advertisement
আরও পড়ুন - Viral Video: মাঠেই দুম করে চুমু খেলেন যুজবেন্দ্র চাহাল, ভিডিও ভাইরাল না হয়ে যায় কোথায়!
শিয়ালদহ এনআরএস হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিল্ডিং এর তিনতলায় মেডিসিন বিভাগে ভর্তি থাকা শেখ হাবিলের কাতর আর্জি, "আমাকে বাঁচান। যন্ত্রণা দূর অস্ত,এখন বাম পাটা পুরো পচে গেছে,ভয়ানক দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে, পোকা হয়ে গেছে পায়ের পাতায়। আমার পা বাদ দিতে হলে দিক ডাক্তারবাবুরা,কিন্তু আমাকে বাঁচান,আমার পরিবার ভেসে যাচ্ছে,আমি ছাড়া সংসার চালানোর কেউ নেই।"
আরও পড়ুন - Jasprit Bumrah Ruled Out : ৬ দিন আগেই দলের সঙ্গে নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছিল, আর তারপরেই এল দুঃসংবাদ
অন্যদিকে হাবিলের সঙ্গে থাকা তার আত্মীয় পিয়ারুল ইসলাম জানান," ডাক্তার থেকে নার্স,সবাইকে হাতে পায়ে ধরেছি,প্রত্যেকদিনই বলছে,অপারেশন করবে খুব তাড়াতাড়ি। এদিকে আবার বলছে,মেশিন খারাপ,ফলে অপারেশন পিছিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ওর পা তো পুরো পচে গিয়ে পোকা ধরে গেছে। পা তো বাদ যাবেই,ওর প্রাণ থাকে কিনা সেই ভেবেই চিন্তায়। কিভাবে ওর স্ত্রীর কাছে মুখ দেখাবো! কোথায় কলকাতায় ভালো চিকিৎসা হবে বলে আনলাম,আর কি থেকে কি হয়ে গেল!"
অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, দ্রুত অবস্থা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ১৫ দিন কেটে যাওয়ার পর শেখ হাবিল এর পা বাঁচানো আদৌ সম্ভব কিনা সে প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে।