বুধবার সন্ধ্যায় বহরমপুরের নিয়াল্লিশপারা থেকে বাপ্পা মণ্ডলকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে পরিবারের অভিযোগ। অভিযোগ রাতেই বাড়িতে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ফোন আসে। বেকারির ব্যবসায়ী বাবা মিলন মণ্ডল তড়িঘড়ি দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে রওনা দেন বেলডাঙ্গার দিকে। এরপরেই পুলিশ নিয়ে আসা হয়েছে বলে অপহরনকারীরা তাঁকে হুমকি দেয় ও ফোন অফ করে দেয়। সারা রাতে বেলডাঙ্গা পেট্রোল পাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও আর কারও দেখা পাননি মিলনবাবু। এরপর বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ির লোকেরা সেই দেহ বাপ্পা মণ্ডলের বলে শনাক্ত করে।
advertisement
তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাপ্পা মণ্ডলের। বাড়ি আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। জেলা পুলিশ সুপার কে শাবেরী রাজকুমার বলেন, ‘‘আমরা সব ঘটনা খতিয়ে দেখছি। সিসিটিভি ফুটেজে কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আমরা খুব শীঘ্র অপরাধীকে গ্রেফতার করব।’’ বাবা মিলন মণ্ডল বলেন, ‘‘সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ আমার ছেলেকে ওর দুটো বন্ধু ফোন করে ডাকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। তারপর থেকে আমার ছেলের সঙ্গে আর কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। সাড়ে দশটায় আমাকে ফোন করে ৫লক্ষ টাকা দাবি করে। টাকা নিয়ে বেলডাঙ্গা আসার জন্য বলে। আমি দেড় লক্ষ টাকা যোগাড় করেছিলাম। বহরমপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাই। কিন্তু ওরা জানতে পেরে যায় আমি পুলিশকে জানিয়েছি। রাত আড়াইটে পর্যন্ত বেলডাঙ্গা পেট্রোল পাম্পে দাঁড়িয়ে থেকেও কেউ আসেনি। সকালে ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আমি চাই আমার ছেলের হত্যাকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করুক।’’
এই ঘটনার পর সাংবাদিক বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘এবার বাংলায় শুরু হয়েছে অপহরণ রাজ। বহরমপুর শহর সেই অপহরণ রাজ থেকে বাদ পড়ছে না। এইভাবে একের পর এক বহরমপুরে খুনের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন কোনও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামব। আমরা চাই দ্রুত অপরাধীকে গ্রেফতার করা হোক৷’’
Pranab Kumar Banerjee