আবার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সাফিনুল বিশ্বাসের ভাই ইসাপুল বিশ্বাসের পাকা দোতলা বাড়ি, দোকান থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনার তালিকায় তাঁরও নাম রয়েছে। যদিও এই বিষয়ে অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সাফিনুল বিশ্বাস বলেন, " যাদের পাকা বাড়ি আছে তাদের প্রত্যেকের নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। আমার ভাইয়ের নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।"
advertisement
যদিও এই বিষয়ে নিতাই দাসের ছেলে অর্থাৎ রুকুনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুভঙ্কর দাস বলেন, " ২০১৮ সালে যাদের পাকা বাড়ি ছিল না তাদের নাম তালিকাতে রয়েছে। সেইকারনেই আমার বাবার নামও এসেছে। কিন্তু ৩ বছর আগে বাবা বাড়ি করেছে। তাই নাম বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা প্রকৃত ঘর পাওয়ার যোগ্য তারাই ঘর পাবে।"
আরও পড়ুন : হোমে সানাইয়ের সুর, নিজের সংসার পেলেন আশৈশব গৃহহীন অষ্টাদশী
বিডিও রাজা ভৌমিক বলেন, " ২০১৮ সালের তালিকা অনুযায়ী আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা আবাস যোজনার সার্ভের কাজ করছে। যাদের বাড়ি রয়েছে তাদের নাম বাদ যাবে, যারা প্রকৃত ঘর পাওয়ার যোগ্য তারাই ঘর পাবে।"
আরও পড়ুন : অগ্নিকাণ্ডের পরই মুনাফার লোভে আগন্তুকদের ভিড় ধ্বংসস্তূপের মাঝে মূল্যবানের খোঁজে
অন্যদিকে আবাস যোজনার ঘরের দাবিতে বড়ঞায় বিডিওর দ্বারস্থ উপভোক্তারা। দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষরা আবাস যোজনার তালিকায় নাম না থাকায় সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় ব্লক কংগ্রেস নেতৃত্বরা। প্রায় শতাধিক আবাস যোজনার উপভোক্তারা এদিনের বিক্ষোভে সামিল হয়। বড়ঞা বিডিও অফিসের সামনে উপভোক্তারা বসে তাদের নাম তালিকায় যুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। বড়ঞা উত্তর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মহিদুল ইসলাম বলেন, " গরিব মানুষদের আবাস যোজনায় নাম না থাকায় এই অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। তবে ব্লক আধিকারিক প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় আমরা এই অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিলাম।"