আরও পড়ুন: সাতসকালে গঙ্গার পাড়ে ভিড়, জলে ভেসে থাকা মৃতদেহ দেখে মন খারাপ সবার
জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে দয়াল দাসের বাড়িতে ছাগল ঢোকাকে কেন্দ্র করে পাশের বাড়ির মায়ারানী দাসের পরিবারের সঙ্গে বচসা বাঁধে। তারপরেই শুরু হয় হাতাহাতি। ধাক্কাধাক্কিতে মায়ারানী দাস ইটের উপর গিয়ে পড়েন। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
advertisement
ঘটনায় মৃতের পরিবার জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মায়ারানী দাসের কোনও সন্তান ছিল না। দেওরের ছেলের পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। সুতি থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গীপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত দয়াল দাস। প্রতিবেশী তপন মন্ডল বলেন, '' চিৎকার শুনে বাইরে এসে দেখি পাশের বাড়িতে চেঁচামেচি চলছে চরমে। মায়ারানী দাসকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। অভিযুক্ত দয়াল দাসকে গ্রেফতা করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।''
আরও পড়ুন: দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীদের রাইটার নেই! ৫ মিনিটে সমস্যার সমাধান করলেন অনুব্রত মণ্ডল
মৃত মায়ারানী দাসের আত্মীয় পলাশ দাস বলেন, '' দয়াল দাসের বাড়িতে আমাদের ছাগল ঢুকে যাওয়ায় ছাগলগুলোকে ওরা মারধর করে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই কারণে আমাদের উপর চড়াও হয়ে আমাদের মারধর করে দয়াল দাস। আমার জ্যেঠিমা মায়ারানী দাসকে খুন করা হয়েছে। আমি চাই পুলিশ দয়াল দাসকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুক।'' তবে পুলিশের অনুমান, শুধু ছাগলকে কেন্দ্র করেই নয়, পুরনো কোনও বিবাদ এই দুই পরিবারের মধ্যে ছিল যার ফলে এ হেন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।