পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীপিকা বৈদ্য'র মা তাপসী বৈদ্য সবজির ব্যবসা করেন। প্রতিদিনই ভোরে সবজি আনতে বাজারে বেরিয়ে যান। বৃহস্পতিবার ভোরেও তিনি বাজারে যান। সকাল ৭ টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন মেয়ে বিছানায় নিথর হয়ে পড়ে আছে। এরপরেই পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান দীপিকা বৈদ্য'কে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। যদিও খুনের কারণ স্পষ্ট নয়।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিশ।
advertisement
ওই ছাত্রীকে খুনের অভিযোগকে ঘিরে বৃহস্পতিবার সকালে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল মেমারি থানার রসুলপুরের নতুন রাস্তা এলাকায়। নাবালিকার মা ও প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেছেন, কেউ বা কারা ভোর রাতে ঘরে একা পেয়ে ওই মেয়েটিকে খুন করেছে। মৃতার মা বলেন, এদিন ভোর চারটে নাগাদ সবজি আনতে বাজারে গিয়েছিলেন তিনি, সকাল ৭টা নাগাদ বাড়ি ফিরে মেয়েকে মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়তে দেখেন তিনি।
আরও পড়ুন : 'Guinness book-এ নাম উঠবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের...', কী ভাবে? কারণ বাতলে দিলেন দিলীপ ঘোষ
প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানালে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। মেমারি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমানে পাঠিয়েছে। পাশাপশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষী ব্যক্তিকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। না হলে আন্দোলনে নামবেন তারা। নাবালিকার মা জানিয়েছেন, এদিন ভোরে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ির অন্য সদস্যদেরও জানিয়ে গিয়েছিলেন।
সকাল সাতটা নাগাদ বাড়ি ফিরে মেয়ে কেন তখনও ঘুম থেকে ওঠেনি দেখতে গিয়ে তিনি দেখেন বিছানার ওপর নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেয়ে। এরপরই তিনি সকলকে ডেকে বিষয়টা জানান। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার দাবি জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। এমনকি পুলিশ কুকুর এনে তদন্তের পাশাপাশি ফরেনসিক পরীক্ষা করার দাবি জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
শরদিন্দু ঘোষ
