গাড়ির চালক ও মালিকরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে ৫-৬টি হনুমানের দল, তাদের মধ্যে কয়েকটি বাচ্চাও রয়েছে, সেই হনুমান হাসপাতালের নিশ্চয়যান পার্কিং চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে দিয়ে পালাচ্ছে। এছাড়াও গাড়ির কাঁচ খোলা থাকলে তার ভিতরেও ঢুকে গিয়ে গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি করছে। এখনও পর্যন্ত হনুমানের তাণ্ডবে সব মালিকের নিশ্চয়যান গাড়ি চরম ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।পার্কিং চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা বলা চলে সব গাড়ির দুই দিকের লুকিং গ্লাস প্রতিদিনই গাছ থেকে নেমে আচমকা গাড়ির উপরে উঠে ভেঙে দিয়ে চলে যাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে বিশ্বকর্মা পুজো! জানুন কোন ট্রেনে কোথায় এমন আলাদা ধরনের আয়োজন
কেবল লুকিং গ্লাসই নয়, গাড়ির দরজার কাঁচ নামানো থাকলে চালকের সিটে ঢুকে পড়ে ভিতরেও তছনছ করে। প্রায় দিন ১৫ এভাবেই একই ঘটনা ঘটে চলেছে। ভাঙা লুকিং গ্লাস ফেলে নতুন লাগানো হলেও পুনরায় একই ঘটনা ঘটে নতুন গ্লাসও ভাঙা যাচ্ছে হনুমানের হাতে। মালিকদের কথায়, এক একটি লুকিং গ্লাসের দাম কম নয়, ফলে প্রতিদিন লুকিং গ্লাস পাল্টে ফের পর দিন আবার হনুমানের হাতে ভাঙা পড়ে যায়। এতেই নাজেহাল হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক নিশ্চয়যান পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়ির মালিক থেকে চালকেরা। গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি তো হচ্ছেই, পার্কিং চত্বরে গাড়ি রেখে গাছ তলায় বিশ্রামেও ভয় ধরেছে গাড়ির চালকদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা পুজোয় বাঁকুড়ায় হিট জাম্বো জিলিপি, ওজন ৪ কেজি, স্বাদে অতুলনীয়! জানুন কত পড়ছে দাম
গাড়ির কাছে গেলে হনুমানের তাড়া খেতে হয় চালকদের। অগত্যা বাধ্য হয়ে গাড়ির চালক ও মালিকেরা পটকা ফাটিয়ে হনুমান তাড়ানোর চেষ্টা করেন। হাসপাতালের পিছনে রয়েছে নিশ্চয়যান পার্কিং, সেখানে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের বাইক রাখার স্ট্যান্ড রয়েছে। ওই চত্বরে চিকিৎসকেরও গাড়ি রাখা থাকে তাতেও তাণ্ডব চালায় হনুমান। ঘটনা সম্পর্কে অবগত হাসপাতালের বিএমওএইচ ডঃ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি।তিনি জানান, “হনুমানের একটি দল ছোটো বাচ্চা নিয়ে এখানে কয়েকদিন ধরে উপদ্রব করছে, আমাদের নিশ্চয়যানের গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে দিয়েছে। আমরা এখান থেকে সরানোর উদ্যোগ নিয়েছি, সঙ্গে বাচ্চা থাকায় বিশেষ কিছু করা যায়নি, তবে আগের থেকে উপদ্রব কিছুটা কমেছে। চিকিৎসকদের গাড়িরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।