প্রতিদিন বাড়ছে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা৷ কেউ কেউ আবার একাধিক মোবাইল ফোন ব্যবহারেও অভ্যস্ত৷ সঙ্গে এই মোবাইল ব্যবহারে বাড়ছে অসচেতনতা ৷ যার সুজোগ নিয়ে মোবাইল চুরি বা ছিনতাইয়ের অভিযোগও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে৷ ভিড় ট্রেনে মোবাইল ছিনতাই বা হাতসাফাই এখন রোজকার সমস্যা৷ মোবাইল চুরির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই মোবাইল হস্তান্তর হয়ে যাচ্ছে নিমিষেই৷ হাতবদল হতে হতে সেই মোবাইল চলে যাচ্ছে ভিন রাজ্যে৷
advertisement
আরও পড়ুন: সফল হয়েও কেন স্থায়ী হল না সাগরদিঘি মডেল, বায়রনের দলবদলে অনেক অঙ্ক, প্রশ্ন!
পুলিশের নজরদারিতে চুরি যাওয়া মোবাইল স্থানীয় এলাকায় চুরি যাওয়া মোবাইল বিক্রির হার কমেছে অনেকটাই৷ পুলিশের দাবি, তদন্তে নেমে দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ মোবাইল গ্রাহকদের কাছে মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ IMEI নম্বর থাকছে না৷ যে সব অভিযোগকারী অভিযোগের সময় এই নির্দিষ্ট IMEI নম্বর জানাতে পারছেন, সেই সব মোবাইল হস্তান্তরের পরে ব্যবহার হলেই পুলিশের নজরে চলে আসছে৷ সে দেশের যেখানেই ব্যবহার হোক না কেন, তা উদ্ধার করা সম্ভব৷
মাস কয়েক আগেই হাওড়া স্টেশন থেকে বর্ধমানগামী ট্রেনে যাওয়ার সময় এক মহিলার মোবাইল ছিনতাই হয়৷ এ ছাড়াও খড়্গপুর থেকে হাওড়া আসার পথে এক বেসরকরি সংস্থার কর্মীর মোবাইল খোয়া যায়৷ অভিযোগ পাওয়ার পরেই হাওড়া GRP- র পুলিশ খোয়া যাওয়া মোবাইলে IMEI নাম্বার ট্র্যাক করতে শুরু করে৷ বেশ কয়েক মাস পর IMEI ট্র্যাকারে ধরা পরে বেশ কয়েকটি মোবাইল৷ উদ্ধারে নেমে পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ৷
একটি মোবাইলের অবস্থান মেলে মহারাষ্ট্রের প্রত্যন্ত এলাকায়, আরেকটি হরিয়ানায়৷ IMEI নম্বর ট্র্যাক করে ফোন সংগ্রহ করে GRP পুলিশ ফোনগুলি যাঁদের কাছে বিক্রি করা হয়েছিল, সেই ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছয়৷ এর পর তাঁদেরকে বুঝিয়ে মোবাইল ফোন ফেরত আনে৷
হাওড়া GRP-র ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সিদ্ধার্থ রায় বলেন, ‘মোবাইল বা কোনও কিছু হারিয়ে বা ছিনতাই হলেই মানুষ আমাদের কাছে আসেন | অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা এই বিষয়গুলির উপর নজরদারি শুরু করি৷ যাঁদের মোবাইল ফিরত দিতে পারি তাঁদের বাহবা পেলেও পাশাপাশি মোবাইল বা হারিয়ে যাওয়া সামগ্রী ফিরিয়ে দিতে না পারলে, কটূক্তিও শুনতে হয়৷ কিন্তু তাঁদের বুঝতে হবে যে সচেতনাতনার অভাবটা তাঁদেরও যথেষ্ট ৷ অন্যদিকে, মোবাইল উদ্ধার করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, কোনও কাগজপত্র ছাড়াই সামান্য মুনাফার আশায় এই ধরনের মোবাইল অনেকে কিনছেন৷ আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি না৷ তবে তাঁদেরকে অনুরোধ করে মোবাইল ফিরিয়ে আনছি, বহুক্ষেত্রে মোবাইল ফেরাতে আমাদের কুরিয়ার খরচ দিতে হচ্ছে নিজেদের পকেট থেকে৷’