মাথায় গামছা জড়িয়ে কাটা ধানের তদারকিতে ব্যস্ত তিনি। বললেন, বাপ ঠাকুরদার কাজ ভুলি কি করে! নিজের জমির ধান। কাজ যখন জানা আছে তখন তা করতে বাধা কোথায়। আর পাঁচজন কৃষকের মতোই ক্ষতিপূরণের জন্য রাজ্য সরকারের ওপর ভরসা রাখলেন তিনিও।
আরও পড়ুন- ৩০ টাকায় স্বপ্নপূরণ! রাতারাতি কোটিপতি মাছ বিক্রেতা
advertisement
জামালপুরের বিধায়ক নিজের বাসভূমি এলাকায় খণ্ডঘোষের শঙ্করপুরের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এক কৃষক। নিজের জমির ধান বাঁচাতে নিজেই মাঠে নামলেন জামালপুরের বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি।
মাস গেলে বিধায়ক পদের জন্য মাইনে পান তিনি। কিন্তু তবুও কৃষিকাজের প্রতি আলাদাই টান রয়েছে এই বিধায়কের। ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত বাবাকে এই কৃষি কাজ করতে দেখেছেন। ছোট থেকে কৃষি কাজের ওপর নির্ভর করেই কষ্ট করে ছেলে মেয়েদের বড় করে তুলেছেন বাবা। তাই তার কষ্টটা কিছুটা বোঝার জন্যই মাঠে নেমে কৃষি কাজে হাত লাগালেন বিধায়ক অলোক মাঝি।
বিধায়ক হলেও পারিবারিক কৃষি কাজের মধ্যে নিজেকে যুক্ত করতে পেরে খুবই খুশি তিনি। বিধায়ক হিসেবে মাসিক ভাতা পেলেও নিজের ফসল রক্ষা করার জন্য যদি মাঠে নামতে হয় তাতে ক্ষতি বা কী? তাই কোনও কিছুর পরোয়া না করে নেমে পড়লেন মাঠে।
বিগত দু-তিন দিনের নিম্নচাপের ব্যাপক বৃষ্টিতে খণ্ডঘোষের শংকরপুরে বেশিরভাগ জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানালেন তিনি। এক্ষেত্রে আর পাঁচটা চাষীর মতোই বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি নিজেও রাজ্য সরকারের ওপরেই ভরসা রাখলেন ক্ষতিপূরণের আশায়।
আরও পড়ুন- বৃষ্টির দাপট কমল দক্ষিণে, কবে থেকে পড়ছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা?
তিনি বললেন, এলাকার বেশিরভাগ কৃষকই ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এলাকার বেশিরভাগ ধান জলে ডুবে গিয়েছে। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে তাঁরও। বললেন, এ রাজ্যে জনদরদি সরকার রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চয়ই ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে চিন্তা করবেন।