এবার অবশ্য প্রকাশ্যেই তৃণমূলকে হারাতে সব দলকে জোট বাঁধার বার্তা দিলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী৷ এ দিন আসানসোলে দলের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে তৃণমূলের মতো শক্তিকে হারাতে বিরোধী দলগুলিকে এক জায়গায় আসার পক্ষে সওয়াল করেন মিঠুন৷ মহাগুরু অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছেন এটি নেহাতই তাঁর ব্যক্তিগত মত৷ জোট নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার দলই নেবে৷ যদিও মিঠুন যখন এ দিন আসানসোলে একথা বলছেন, তখন অবশ্য তাঁর পাশেই ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷
advertisement
সরকারি ভাবে এটা আমি বলতে পারিনা৷
আরও পড়ুন: 'অনেকে কালীঘাটে যান, উনি ওখানে করেছেন!' মমতাকে শুভেন্দুর প্রণাম নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ
এ দিন আসানসোলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাম শাসনের শেষ দিকের তুলনা টেনে আনেন মিঠুন৷ তিনি বলেন, 'তৃণমূল যখন সরকারে এসেছিল সবাই একজোট হয়েছিল৷ সিপিএমকে হারানোর জন্য৷ কংগ্রেস, তৃণমূল, এমন কি বিজেপি খুব ছোট হলেও পিছন থেকে সাপোর্ট দিয়েছিল৷ এটা এখন অস্বীকার করে লাভ নেই৷ তেমনই এ রকম একটা শক্তিকে হারাতে গেলে সবাইকে এক জায়গায় আসতেই হবে৷ মতাদর্শগত ভাবে আমাদের অবস্থান আলাদা হতে পারে, সেই জায়গাটা থাক না৷ কিন্তু এই ধরনের শক্তিকে হারাতে সবাইকে একজোট হতেই হবে৷ তবে এটা আমি সরকারি ভাবে বলতে পারি না৷'
আরও পড়ুন: এবার শান্তিকুঞ্জে অভিষেককে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ দিব্যেন্দুর! যাবেন তৃণমূল সাংসদ, জল্পনা তুঙ্গে
যদিও মিঠুনের এই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি৷ তিনি বলেন, 'উনি অত্যন্ত ভাল অভিনেতা৷ ওটাই করুন না৷ রাজনীতিটা করতে গিয়ে একবার বিপদে পড়ে মনে হচ্ছে শিক্ষা হয়নি৷ রাজনীতিতে মতাদর্শগত লড়াই এত সহজ নয়৷ '
মহাজোটের প্রস্তাব নিয়ে মিঠুনকে তীব্র আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও৷ তিনি বলেন, 'এটা বলে তিনি স্বীকার করে নিচ্ছেন কোনও দলের পক্ষে তৃণমূলকে হারানো সম্ভব নয়৷ উনি যে দলের বায়না নিয়ে শীতকালের বাজারে মঞ্চে মঞ্চে অভিনয় করে বেড়াচ্ছেন, সেই দলের একার পক্ষে তৃণমূলকে হারানো সম্ভব নয়, সেটাও উনি স্বীকার করে নিলেন৷ তাছাড়া ২০১৪ সালে সাংসদ হয়ে বলেছিলেন কোনও দল তাঁকে সম্মান নেয়নি৷ মমতা যে সম্মান দিয়েছেন, তার জন্য ভাই হিসেবে তিনি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন৷ তাহলে কী এমন হল যে এখন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পিছন থেকে ছুরি মারার জন্য নামতে হল৷ কোন কেলেঙ্কারি থেকে বাঁচার জন্য এখন বিজেপি-র হয়ে গান গাইতে হচ্ছে? এটা আগে সবার সামনে মিঠুন চক্রবর্তী বলুক৷'