চুঁচুড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পাশে বসিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী মঙ্গলবার বলেছেন, ‘‘তৃণমূলে সবাই চোর নয়। কিছু কিছু ভাল মানুষ আছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা এখন সাফোকেটেড ফিল করছেন। আমার সঙ্গে ২১ জন বিধায়ক সরাসরি যোগাযোগ করেছেন বলেও দাবি করেন মিঠুন চক্রবর্তী। বাকি আরও অনেকেই আছেন, যারা বিজেপিতে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছেন। আমি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বুঝিয়েছি যে, তৃণমূলের সবাই চোর নয়।’’
advertisement
আরও পড়ুন - তৃতীয়ায় তৃতীয় দফায় জেলার ৩০০র ও বেশি পুজো উদ্বোধন, বুধবার ঠাসা কর্মসূচি মুখ্যমন্ত্রীর
যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কিম্বা বঙ্গের পদ্ম শিবিরের একাধিক নেতা বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে তৃণমূলের সবাই চোর বলে গলা ফাটাতে দেখা গেছে। বিজেপি রাজ্য কমিটির তরফ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয় যে, তৃণমূলের কোনও নেতাকে বিজেপিতে নেওয়া হবে না। কারণ তৃণমূলের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই তাঁদের জন্য দরজা বন্ধ। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী থেকে দিলীপ ঘোষ সহ এ রাজ্যের পদ্ম নেতাদের প্রত্যেকেই সব সময় বলে থাকেন তৃণমূলের ১০০ শতাংশ চোর।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তো একধাপ এগিয়ে তৃণমূলীদের ৭৫ শতাংশ ডাকাত আর ২৫ শতাংশ চোর বলেও কটাক্ষ করতে শোনা গেছে। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে কয়লা, গরুপাচার। একের পর এক ইস্যুতে শোরগোল রাজ্যজুড়ে। গ্রেফতার রাজ্যের দুই হেভিওয়েট। বিজেপির শারদ-শুভেচ্ছাতেও জ্বলজ্বল করছে দুর্নীতি-ইস্যু। পোস্টার থেকে বিজেপি নেতা, সর্বত্রই 'চোর ধরো জেল ভরো'র ডাক।
বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্ব যখন প্রতিদিনই দুর্নীতি ইস্যুতে শান দিচ্ছে, তখন মিঠুন চক্রবর্তীর গলায় ভিন্ন সুর। মিঠুনের দাবি, তৃণমূলের একুশজন নেতা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁরা কেউই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নন। মিঠুন এও বলেন, একুশ জন আছেন। কারও সঙ্গে টাকা নিয়ে কথা হয়নি। তৃণমূলের অনেকেরই এখন দমবন্ধ পরিস্থিতি। ‘কভি ভি কুছ ভি হো সকতা হ্যায়।’ তাহলে কি দুর্নীতি ইস্যুতে পদ্মের ঘরে দু’রকম মত? প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। দুর্নীতি ইস্যুকে সামনে রেখে লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। পদ্মের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি দেখেছেন রাজ্যবাসী। এমন পরিস্থিতিতে মিঠুনের মন্তব্য কি বঙ্গ বিজেপির অস্বস্তি বাড়াল? উত্তর দেবে সময়ই।
Venkateswar Lahiri