স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ বছর বয়সে সমর মালিক ও আরও একজন নাবালককে সোনার কাজের টোপ দিয়ে বাড়ি থেকে জয়পুর নিয়ে যায় বলরামবাটি এলাকার এক স্বর্ণকার। প্রথম ২ বছর যোগাযোগ ছিল পরিবারের সঙ্গে। পরে হঠাৎই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অথচ মধ্যস্থকারী স্বর্ণকার জানিয়েছিলেন সে ভিন রাজ্যে ভাল আছে, কাজ করছে। কিন্ত্ত তারপর থেকে আর পরিবারের সাথে যোগাযোগ হয়নি সমর ঘোষের। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি বাড়ির লোকজন। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশাই ছেড়ে দিয়েছিল পরিবার। হঠাৎ করে বাড়ি ফিরল সেই ছেলে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হলেও খুশির হাওয়া এলাকায়।
advertisement
ফিরে আসা যুবক সমর মালিক জানায়, জয়পুরে যেখানে কাজ করছিল সেখানে তাকে মারধর করা হতো। সেখান থেকে বেরিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে জয়পুরে এক রেস্টুরেন্টে কাজে লাগে সমর। দিনরাত রেস্টুরেন্টে পরিশ্রম করলেও খাবার ছাড়া জুটতো না টাকা পয়সা। চলত নানারকম মানসিক অত্যাচার। অবশেষে এক হাজার টাকা জোগাড় করে জয়পুর থেকে হাওড়া টিকিট কেটে উঠে পড়ে ট্রেনে। হাওড়া স্টেশনে নেমে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে চলে আসে বলরামবাটি। হাঁটতে হাঁটতে উপস্থিত হয় বাড়ির সামনে। কথাবার্তার মাধ্যমে বেরিয়ে আসে যুবকের পরিচয়। যদিও বাংলা ভাষা সম্পূর্ণরূপে ভুলে গেছে সমর। হিন্দিই এখন তার কাছে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। তবে আর ভিন রাজ্যে ফিরে যেতে চায় না সে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়েছেন, সমর মালিকের আধার কার্ড, ভোটারকার্ড তৈরির সমস্ত ব্যাবস্থা করা হবে। সরকারি প্রকল্প থেকে কোনওভাবেই বঞ্চিত হবে না।