#বর্ধমান: এনআরসি, সিএএ নিয়ে আন্দোলনের মাঝেই দাবার চাল দিয়ে বসলেন মন্ত্রী। সাদা ঘুঁটি নিয়ে অপর প্রান্তের প্রতিপক্ষকে থোড়াই কেয়ার। রাজাকে ‘চেকমেট’ হওয়া থেকে বাঁচাতে মন্ত্রী চেয়ার টেনে শেষপর্যন্ত বসেই পড়লেন খেলতে। কিন্তু তাঁর সেই আগ্রাসী মনোভাব স্থায়ী হল না খুব বেশিক্ষণ। অপর প্রান্তে তো যে সে নন, তিনি গ্র্যান্ড মাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া। এক চালেই নিজের জাত চেনালেন তিনি।
advertisement
পূর্ব বর্ধমানের কালনার ধর্মডাঙায় একটি বেসরকারি স্কুলে শনিবার স্পোর্টস অ্যাকাডেমির উদ্বোধন হল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন গ্রান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া, ফুটবলার সংগ্রাম মুখোপাধ্যায়, সুবীর ঘোষ, রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। প্রাথমিক পর্যায়ে এক কোটি টাকা খরচ করে এই স্পোর্টস অ্যাকাডেমি তৈরি করা হচ্ছে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন।
শীতের সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফুরফুরে মেজাজেই ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। গ্র্যান্ডমাস্টারকে তাই খেলার আমন্ত্রণ জানাতে সময় নেননি। তবে প্রথম চাল দিতে গিয়েই বোরো, গজ, নৌকো উল্টে একাকার। দাবার বোর্ডেই গড়াগড়ি খেল তারা। মন্ত্রীকে সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন পারিষদরা। কিন্তু ততক্ষণে প্রথম চালেই রাজাকে বিপদের সামনে দাঁড় করিয়ে ছাড়লেন মন্ত্রী। এক চালেই রাজার দুরবস্থার কথা বুঝিয়ে হাসিমুখে চেয়ার ছাড়লেন গ্র্যান্ডমাস্টার।
খাদির পাঞ্জাবির ওপর হাফহাতা জ্যাকেট। গলায় ঝোলানো তেরঙা উত্তরীয় ঠিক করতে করতে বললেন, ‘‘ আগে তো খেলতাম। নিয়মিত খেলেছি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কিভাবে কেটে যেত বোঝাই যেত না। এখন রাজনীতির কারণে আর সময়ই হয় না। তবুও কোথাও খেলা হচ্ছে দেখলে দাঁড়িয়ে পড়ি। কথাবার্তা হয়। এভাবেই জনসংযোগের কাজও চালিয়ে যাই।’’
কালনার মতো মফস্বল এলাকায় এই ধরনের আধুনিক স্পোর্টস অ্যাকাডেমি গড়ে ওঠায় খুশি ক্রীড়াপ্রেমীরা। তাঁরা বলছেন, দিন দিন খেলার মাঠ কমে যাচ্ছে। খেলার প্রতি আজকের ছেলে মেয়েদের উৎসাহ কমে যাচ্ছে। মোবাইল, ভিডিও গেম নির্ভর হয়ে পড়ছে তারা। এই ধরনের অ্যাকাডেমি ছেলেমেয়েদের খেলার প্রতি আগ্রহ বাড়াবে বলে মনে করছেন তারা।