বর্ষার মরশুমে বালি তোলা নিষিদ্ধ। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীর বুকে জেসিবি মেশিন বসিয়ে বালি তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল বালি মাফিয়ারা। শুধু তাই নয়, অনেকেই নির্দিষ্ট পরিমাণের বাইরে অতিরিক্ত অনেক বেশি বালি মজুত করেছিল। সেই অতিরিক্ত মজুত করা বালি বাজেয়াপ্ত করেছে জেলা প্রশাসন। জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে বালিঘাট মালিকরা বালি মজুদ করতে পারে। কিন্তু কতটা পরিমান বালি মজুত করা যাবে তা নির্দিষ্ট করা আছে। কিন্তু দেখা গেছে তার বাইরেও অনেকে পাহাড় প্রমাণ বালি মজুত করে এই সময় চড়া দামে বিক্রি করছিল। ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে সেই অতিরিক্ত বালি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : সাইকেল আরোহীকে আক্রমণ চিতাবাঘের! পুরনো ভাইরাল ভিডিও দেখে আঁতকে উঠল নেটিজেনরা
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, "ঘাট মালিকরা কত পরিমান বালি মজুত করতে পারবে তা তাঁদের চুক্তিপত্রে লেখা থাকে। তারপরেও অনেকে সেই চুক্তি অমান্য করে বাড়তি বালি মজুত করেছিল। প্রশাসনিক আধিকারিকরা স্টক পয়েন্টগুলিতে অভিযান চালিয়ে মাপজোক করেন। যারা অতিরিক্ত বালি মজুত করেছিল তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। বালির ঘাটগুলিতে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারিও চালানো হবে।
আরও পড়ুন : কলেজ ছাত্রকে প্রকাশ্যে চড়, লাথি শিক্ষকের! ভয়ঙ্কর মারধরের ভিডিও ভাইরাল
পূর্ব বর্ধমান জেলার অজয় দামোদর থেকে প্রচুর পরিমাণে বালি ওঠে। তাই এই দুই নদীতে বালি তোলার কাজে সক্রিয় মাফিয়া চক্র। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়না, মঙ্গলকোট, জামালপুর আউশগ্রামের ভেদিয়া এলাকায় সবচেয়ে বেশি বা করা হয়েছে। এই এলাকাগুলিতে বেশ কিছু বেআইনি বালি খাদান আছে বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, অনেক বালিঘাট মালিক তার নির্দিষ্ট করে দেওয়া এলাকার বাইরে থেকেও প্রচুর বালি তুলে নিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এছাড়াও বেশ কিছু ওভারলোড গাড়ি আটক করা হয়েছে। তা থেকেও জরিমানা হিসেবে মোটা টাকা আদায় করা হয়েছে।