ক্রেতাদের অভিযোগ, ছানার জলকে প্রক্রিয়াজাত করে দুধ হিসেবে বিক্রি করে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। আসল দুধ ভেবেই তা শিশু ও বয়স্কদের খাওয়ানো হচ্ছে। অথচ এই ছানার জল অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ থেকে সংগ্রহ করা হয়। তা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। অবিলম্বে এই সব অসাধু কারবার বন্ধ হওয়া উচিত। কাটোয়া শহরের বাসিন্দারা বলছেন, ছানার জল মিষ্টির দোকানগুলিতে যে বালতিতে ধরা হয়, তাতে মাছির উৎপাত থাকে। অভিযোগ, সেই জলই সন্ধ্যায় দুধ ব্যবসায়ীদের একাংশ কিনে নিয়ে যান। ওই জল বিশেষ প্রক্রিয়ায় দুধে মিশিয়ে ঘনত্ব বাড়ানো হয়। ভেজাল দুধ শরীরের ক্ষতি করে। প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।
advertisement
ছানার জল যে বিক্রি হয় তা স্বীকার করছেন কাটোয়ার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরাও। তাঁরা বলছেন, জাঁক দেওয়ার আগে কাপড়ে জল সমেত ছানা ঝুলিয়ে রাখা হয়। সেই জল বালতিতে ধরে রাখা হয়। লিটার প্রতি চার পাঁচ টাকা দরে সেই জল অনেকে কিনে নিয়ে যায়। তবে তা কোন কাজে লাগে জানা নেই বলেই দাবি তাঁদের।
আরও পড়ুন : আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় আলুর দাম হতে পারে আকাশছোঁয়া, আতঙ্কিত কৃষকরা
কাটোয়া শহরে প্রায় ৭৫টি ছোট-বড় মিষ্টির দোকান রয়েছে। প্রতি দিন বহু কেজি ছানা কিনে থাকে দোকানগুলি। মিষ্টির দোকানগুলি থেকে প্রতি সন্ধ্যায় বহু লিটার ছানার জল সংগ্রহ করে বিক্রি করা হয়।
আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক ও বেনজির সিদ্ধান্ত সৌদি আরবের! প্রথম বার কোনও মহিলা মহাকাশচারীকে মহাকাশে পাঠাচ্ছে এই মরুদেশ
কাটোয়া পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর মলয়কান্তি ঘোষ বলেন, ছানার জল বিক্রেতাদের চিহ্নিত করা হবে। খাবারের ক্ষতি করে এমন কোনও কাজ যাতে না হয় তা দেখা হবে। ছানার জল যারা কিনছে তাদেরও চিহ্নিত করা হবে।