পরিবারের অভিযোগ, এক বন্ধু রাকিবুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। অভিযুক্ত ওই বন্ধুকে আটক করেছে কেরালা পুলিশ। মৃত্যুর খবর বাড়িতে এসে পৌঁছাতেই শোকের ছায়া মৃতের পরিবারজুড়ে।
অভাবের সংসারে রোজগারের আশায় ১৯ দিন আগে কেরালার এরনাকুলামে রাজমিস্ত্রীর কাজে যান ইসলামপুর থানার গোয়াস কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা রাকিবুল সেখ। পরিবারে বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী, দুই সন্তান রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- একটা ডিমে চারটি ডেভিল! রান্নার সিক্রেট মশলায় জমবে খাওয়া, রইল সুস্বাদু রেসিপি
ধারদেনা করে একটি বাড়িও তৈরি করেছেন রাকিবুল। কিন্তু অভাবের সংসারে পেট চালানোর দায়ে ও ঋনের দায়ে রোজগারের তাগিদে ভিনরাজ্যে কাজে যান তিনি।
মঙ্গলবার রাতে রাকিবুলের পরিবারকে ফোনে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে ছেলের। পরিবারের অভিযোগ, এক বন্ধু রাকিবুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। নেশাগ্রস্থ অবস্থায় দুই বন্ধুর বচসার জেরেই খুন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর বাড়ি পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাকিবুলকে শেষবারের মতো দেখার অপেক্ষায় পরিবারের লোকেরা। তবে পরিবারের দাবি, খুনে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
মৃতের স্ত্রী সাবিনা বিবি বলেন, সকালেই আমার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। বলেছিল বিকেলে এক বন্ধুর সঙ্গে কাজে যাবে। তারপর আর কথা হয়নি। ওই বন্ধুই আমার স্বামীকে খুন করেছে। আমার স্বামীর খুনিদের আমি শাস্তি চাই।
মৃতের বাবা ইয়াকতুল্লাহ সেখ বলেন, ছেলেই আমার সম্বল ছিল। ওর রোজগারেই সংসারটা চলত। কিন্তু কাজে গিয়ে যে ছেলেটার এই পরিণতি হবে তা জানা ছিল না। তা হলে ওকে আর বাইরে কাজে যেতে দিতাম না।
আরও পড়ুন- আজ থেকে দিঘা ঘুরতে গেলে সাবধান…! বদলে গেল সব নিয়ম! বিরাট ফাঁসবেন না জানলে
প্রতিবেশী সেখ মুর্তেজ আলি বলেন, পরিবারের রাকিবুলই একমাত্র রোজগেরে। অনেক টাকা ধারদেনা করে বাড়িটা তৈরি করেছিল। সেই কারণে রোজগারের তাগিদে কেরালায় গিয়েছিল। কিন্তু এখন অথৈ জলে ওই পরিবার। আমরা চাই রাকিবুলের পরিবারকে সরকারি সাহায্য করা হোক। এবং ওর স্ত্রীর জন্য একটা চাকরির ব্যবস্থা করা হোক।