জানা গিয়েছে, ভোট পর্ব মিটতেই শনিবার মাঝরাতে লালগড়ে ছত্রধরের বাড়িতে যায় প্রায় ৪০ জনের একটি এনআইএ দল। তৃণমূলের এই নেতার বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে সিপিএমের নেতা প্রবীর মাহাতোকে খুনের অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ছত্রধরক এই মর্মে এনআইএ নোটিস পাঠায়। তবে তার পরও ছত্রধর তদন্তকারী সংস্থার সামনে হাজির হননি বলে খবর।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, মামলার 'মেরিট' নিয়ে তাঁর বা দলের কিছু বলার নেই এই মুহূর্তে। কিন্তু 'টাইমিং' নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাঁদের। কুনালের কথায়, "এত বছরের পুরনো একটি মামলায় কেন ভোটের মধ্যে তৃণমূল নেতাকে বার বার জেরার জন্য ডাকা হচ্ছিল এবং প্রথম দফার ভোট মিটতেই কেন তড়িঘড়ি তাঁকে গ্রেফতার করা হল প্রশ্ন রয়েছে তাই নিয়েও।" ছত্রধর মাহাতোর এই গ্রেফতারি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক বলে মন্তব্য কুনাল ঘোষের।
advertisement
তৃণমূল যখন জঙ্গলমহলে নিজেদের হারানো জমি ফিরে পাচ্ছে তখনিই এই ধরণের পুরোনো মামলায় ছত্রধরের গ্রেফতারির পেছনে রাজনৈতিক হাত দেখতে পাচ্ছে তৃণমূল। এমনই মন্তব্য করলেন কুনাল। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, এইভাবে তৃণমূলের জঙ্গলমহলের সংগঠনকে ভাঙা যাবে না। বরং আরও শক্তিশালী হয়ে জঙ্গলমহলের ব্যালটবক্সে এর জবাব দেবে সেখানকার মানুষ।"