২১৩ আসন নিয়ে বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তৃণমূলের তরফ থেকে নন্দীগ্রামে পুনর্গণননার আবেদন করা হলে কমিশন তা খারিজ করে দেয়। এরপরেই এই নিয়ে আদালত পর্যন্ত যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
কথা মতই ভোটের ফলাফল ঘোষণার ৪৫ দিন পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের নন্দীগ্রাম ইস্যু উস্কে দিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলার শুনানি শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মামলার শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে যায়। আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
advertisement
মামলা পিছিয়ে যাওয়ার পরই একটি ছবি তুলে ধরে বিচারপতির রাজনীতিগত অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এবং তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। অভিযোগ তোলা হয় হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র বিজেপি ঘনিষ্ঠ। আর সেই কারণেই নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের প্রমাণ স্বরূপ ট্যুইটারে একটি ছবিও পোস্ট করেছেন ডেরেক। বিজেপির একটি সভার দুটি ছবি পোস্ট করে ডেরেক প্রশ্ন তোলেন, 'ছবিতে যাঁকে গোল করে চিহ্নিত করা হয়েছে, ইনি কে? ইনি কি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ?' এরপর এই বিচারপতির এজলাসে কেন নন্দীগ্রাম মামলা দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ডেরেক সহ তৃণমূলের একাংশ। সেই ছবিগুলির একটিতে দিলীপ ঘোষের পাশে বসে থাকা একজনকে গোল করে চিহ্নিত করা। অপর ছবিটিতে, দিলীপ ঘোষ ভষণ দিচ্ছেন, সেখানে একজন বসে থাকা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা।
একই ছবি নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষও। ছবিটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, "বিচারপতি কৌশিক চন্দ বিজেপিদরদী। নন্দীগ্রাম মামলা তাঁর হাতে নিরপেক্ষ থাকবে কি? অনুরোধ, বিচারপতি চন্দ মামলাটি ছেড়ে দিন।” কুণাল ঘোষ আশঙ্কা জাহির করে এও বলেছেন যে, কৌশিক চন্দ্রের এজলাসে এই মামলা আর নিরপেক্ষতা হারাবে।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের মুখপাত্র যেই ছবিটি পোস্ট করেছেন সেটি বিজেপির আইন-সেলের কোনও একটি বৈঠকের অংশবিশেষ বলেই সূত্রের খবর। সেখানে দিলীপ ঘোষকে বক্তব্য রাখতেও দেখা যাচ্ছে এবং অতিথির আসনে হাইকোর্টের বিচারক কৌশিক চন্দ্রকে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।