সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুন মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এর আগে এনআইএ-র তরফে একাধিকবার ছত্রধরকে তলব করা হয়। কিন্তু ছত্রধর তদন্তকারী সংস্থার সামনে হাজির হননি। অভিযোগ, বারবারই শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। শেষবার ভোটের কাজে ব্যস্ততার জন্য যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা ছত্রধর। অথচ বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় তাঁকে। এরপরই তিনদিন আগে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে তাকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়। ছত্রধরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু সূত্রের খবর, সেই নির্দেশও অমান্য করেন তৃণমূল নেতা। এরপরেই গতকাল মাঝরাতে NIA -এর প্রায় জনা ৪০ জনের একটি বিশাল বাহিনী পৌঁছয় জঙ্গলমহলে। তাঁর শালবনীর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হন ছত্রধর।
advertisement
সূত্রের খবর, ধৃত ছত্রধরকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। রবিবারই তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে। প্রসঙ্গত, জানেশ্বরী এক্সপ্রেস নাশকতায় অন্যতম অভিযুক্ত জঙ্গলমহলের তৎকালীন জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতো। পরে, সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনেও তাঁর নাম জড়ায়। ইতিমধ্যেই দশ বছরের বেশি জেলবন্দি ছিলেন ছত্রধর। ২০২০-র শুরুতে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন ছত্রধর। কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যের শাসক দলে যোগ দেন তিনি। এমনকী তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্যও করা হয় ছত্রধর মাহাতোকে।
