স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির সংখ্যা বেশি দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্বৃত্ত করে সেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল স্কুলেরই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় অন্যান্য খাতের টাকা আত্মসাতের অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষকের অনিচ্ছায় স্কুলের পরিচালন সমিতি গঠন করা হয়নি বলেও অভিযোগ। ঘটনা বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের লছমনপুর পরমহংস যোগানন্দ বিদ্যাপীঠের । উপস্থিতির হার বেশি দেখিয়ে মিড ডে মিলের টাকা উদ্বৃত্ত করার কথা স্বীকার করে নিলেও সেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মানেননি প্রধান শিক্ষক। তাঁর দাবি শাসক দলের নেতাদের চাপে গঠন করা যায়নি পরিচালন সমিতি।
advertisement
আরও পড়ুন – Thunderstorm Alert Within 1 Hour: এক ঘণ্টায় কলকাতায় ‘কয়ামত’, ধেয়ে আসছে তুমুল বৃষ্টি, ঝড়ঝঞ্ঝা
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের লছমনপুর পরমহংস যোগানন্দ বিদ্যাপীঠে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালন সমিতি নেই। শিক্ষা দফতর থেকে বারংবার পরিচালন সমিতি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ সেব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের অনিচ্ছাতেই গঠিত হয়নি ওই পরিচালন সমিতি। এদিকে পরিচালন সমিতি না থাকার সুযোগ নিয়ে দিনের পর দিন স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি বেশি দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে মিড ডে মিলের বরাদ্দ লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র পন্ডা বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ স্কুলের সর্বশিক্ষা অভিযানের বরাদ্দ থেকে শুরু করে স্কুলের পড়ুয়াদের ভর্তি এবং স্কুল চত্বরের গাছ বিক্রির লক্ষ লক্ষ টাকার কোনো হিসাব দিতে পারছেন না প্রধান শিক্ষক। অভিভাবকদের দাবি ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রধান শিক্ষক।
অবিলম্বে ওই প্রধান শিক্ষক স্কুলের তহবিলের টাকার হিসাব না দিলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিভাবকেরা। পড়ুয়াদের উপস্থিতি বেশি দেখিয়ে মিড ডে মিলের টাকা উদ্বৃত্ত করার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। তবে তাঁর দাবি ওই উদ্বৃত্ত টাকায় স্কুলে সরস্বতী পুজোর ঘাটতি পূরণ থেকে শুরু করে স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়ার উদ্যেশ্যে খরচ করা হয়েছে। পরিচালন সমিতি গঠন না করার পিছনে প্রধান শিক্ষকের যুক্তি স্থানীয় তৃনমূল নেতাদের চাপেই তা গঠন করা সম্ভব হয়নি। গোটা ঘটনা নিয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন এভাবে পড়ুয়াদের উপস্থিতি বেশি যেমন দেখানো বে আইনি তেমনই উদ্বৃত্ত টাকা অন্য খাতে খরচ করাও নিয়ম বিরুদ্ধ। দ্রুত ওই টাকার হিসাব না দিলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।