বাংলার নানা প্রান্ত থেকে আগত প্রায় ১২০০ জন প্রতিযোগী শিল্পী তাঁদের নিজস্ব শিল্পভাষায় মেদিনীপুরের ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। কেউ তুলির টানে ফুটিয়ে তুলেছেন পটচিত্রের ঐতিহ্য, কেউ লোকজ জীবনের সহজ সরল ছোঁয়া, কেউ আবার রঙের খেলায় তুলে ধরেছেন প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্ক।
আরও পড়ুনঃ শরীরে ক্রসব্যান্ড! ফণার নীচে যেটা থাকে দেখলেই চিনবেন… সেই ছক বদলে দিল ‘সাদা’ কেউটে!
advertisement
এদিন চিত্র প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। সেখানে স্থান পেয়েছে স্থানীয় ও নবীন শিল্পীদের একাধিক কাজ। মেদিনীপুরের পটচিত্র, মৃৎশিল্প, কাঠখোদাই ও লোকজ চিত্রকলার নানা ধরনকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা প্রদর্শনী ঘুরে শিল্পীদের কাজ দেখে মুগ্ধ হন। অনেকেই জানান, এই ধরনের উদ্যোগ শুধুমাত্র শিল্পচর্চাকে উৎসাহিত করে না, একই সঙ্গে মেদিনীপুরের ঐতিহ্যকে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়।
প্রদর্শনীর পাশাপাশি এখানে দিনভর বিভিন্ন কর্মশালা ও আলোচনাসভা চলে। সেখানে অংশ নেন বিশিষ্ট শিল্পী, আর্ট শিক্ষক এবং সংস্কৃতি অনুরাগীরা। তাঁরা তরুণ শিল্পীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, রঙের ব্যবহার, থিম নির্বাচন এবং শিল্পচর্চার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন। শিল্পীদের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া হয় সনদপত্র ও স্মারক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আয়োজকদের অন্যতম সুকুমার মান্না বলেন, “আমাদের লক্ষ্য মেদিনীপুরের শিল্প ঐতিহ্যকে দেশ-বিদেশের দরবারে পৌঁছে দেওয়া। এই ধরনের উৎসব শুধু শিল্পীদের আত্মপ্রকাশের মঞ্চ নয়, বরং এটি এক ধরনের সাংস্কৃতিক আন্দোলন, যা আমাদের শিকড়ের সঙ্গে আমাদের আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করে।”





