মালা বিক্রেতা সুশীল বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, নদিয়ার বগুলা এলাকায় তাঁর মতো কারিগররা এই মালা তৈরি করেন বিশেষ দক্ষতা দেখিয়ে। যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ অমিত শাহের মতো ব্যক্তিরাও পড়েছেন। বর্তমানে সারা বিশ্বে পৌঁছে যাচ্ছে এই ধরনের মালা। বগুলার বাসিন্দা সুশীল বিশ্বাস, নিজের হাতে সেই মালা তৈরি করে উপহার দিয়েছিলেন দেশের প্রশাসনিক প্রধানদের বলেও জানান। তার স্বীকৃতিস্বরূপ সুশীল বাবুকে দশ হাজার টাকা পুরস্কারও দেওয়া হয়।
advertisement
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, মতুয়া ধর্মের প্রবর্তক হরিচাঁদ ঠাকুর ও তার পুত্র গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ অনুসরণকারীরা গলায় এই মালা ধারণ করেন। এটি তাঁদের আত্মপরিচয় বজায় রাখা এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে একতা দৃঢ় করার একটি নিদর্শন বলেই মনে করা হয়। ফলে সংকীর্তন হোক বা ধর্মসভা কিংবা বার্ষিক মতুয়া উৎসবে পাগল গোঁসাই দলপতিদের এই মালা পরিধান করা বাধ্যতামূলক। ডঙ্কা কাসর নিশান এর পাশাপাশি এই আচার-ই মালাও বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। ১০০ টাকা থেকে শুরু করে নানা দামে বিভিন্ন আকারেও এই মালা পাওয়া যায়। বিশেষ গুণও রয়েছে এই মালার বলেই জানালেন বিক্রেতা সুশীল বিশ্বাস।
আরও পড়ুন : খেজুর খেলেই চুরমার এঁদের শরীর! জাপটে ধরবে জটিল বড় বড় অসুখ! জানুন কারা এই ফল খেলেই পড়বেন চরম ক্ষতিতে
মতুয়া ভক্তরাও ভক্তি ভরে তাই ঠাকুরনগর বারুনী মেলায় এসে কেনেন এই মালা। বেশ কিছু স্টল-সহ বহু বিক্রেতা ঘুরে ঘুরেও এখন বিক্রি করছেন এই ভক্ত কন্ঠ হার বা আচার-ই মালা। ফলে, মতুয়া সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ও ধর্মীয় আবেগের প্রতীক কালো রংয়ের মালা বিক্রি করে বহু বিক্রেতাই এখন দেখছেন লাভের মুখ।