স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনতলায় একটি আবাসনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড দেখে এলাকাবাসী জড়ো হন। বরাতজোরে পরিবারের লোকজন অনুপস্থিত থাকায় রক্ষা মেলে। তড়িঘড়ি দমকল ও পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে কোক ওভেন থানার পুলিশ ও ডিপিএলের দুটি দমকলের ইঞ্জিন এসে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজ শুরু করে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে রাজ্য সরকারের আরও একটি দমকলের ইঞ্জিন আসে। ঘণ্টাখানেকের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। যদিও ভয়াবহ আগুনে আবাসনের আসবাবপত্র-সহ সমস্ত ওসামগ্রী ভস্মীভূত হয়ে যায়।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড (ডিপিএল) তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওই আবাসনে থাকতেন সুনিতা কুণ্ডু, রাজীব কুণ্ডু ও তাঁদের একটি কন্যাসন্তান। সুনিতাদেবী ডিপিএলের নার্সিং স্টাফ। ওই দিন রাত্রী ন’টা নাগাদ সুনিতাদেবী ও তাঁর স্বামী মেয়েকে টিউশন থেকে আনতে গিয়েছিলেন। আবাসনে কেউ ছিলেন না। এলাকাবাসীর নজরে পড়ে ওই আবাসন থেকে ভয়াবহ আগুনের লেলিহান শিখা বেরোচ্ছে। পাশাপাশি এলাকা কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। চিৎকার চেঁচামিচিতে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে যান আবাসনের সামনে। আবাসনের কর্তা রাজীব কুণ্ডুর দাবি, কীভাবে আগুন লাগল বুঝে উঠতে পারছি না। আবাসনে বিদ্যুৎতারে সমস্যা ছিল। অভিযোগ করেছিলাম। আগুনে ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।