শুক্রবার বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী মন্দির চত্বরে বসছে গণবিবাহের আসর। সেখানেই এই একশো পঁচিশ জোড়া পাত্র পাত্রীর বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এই বিয়েকে ঘিরে সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছে বর্ধমানের কাঞ্চননগর এলাকায়। এই গণবিবাহের উদ্যোক্তা কঙ্কালেশ্বরী কালীমাতা গণবিবাহ কমিটি। এক ছাদের নীচে অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু মুসলিম পাত্রপাত্রীদের গণবিবাহ।
উদ্যোক্তাদের পক্ষে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, এ রাজ্যের বাসন্তী গোসাবা থেকে শুরু করে সব প্রান্ত সহ দেশের মোট আটটি রাজ্য থেকে পাত্রপাত্রীরা এই গণবিবাহে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে রাজস্হান ও দিল্লির দুজন করে পাত্রী আছেন। উত্তর প্রদেশ থেকে এসেছেন পাঁচ, বিহার থেকে চার, ঝাড়খণ্ড থেকে তিন জন, হরিয়ানা ও কর্ণাটকের একজন করে পাত্রী থাকছেন। একশো পঁচিশ পাত্রীর মধ্যে পঁচিশ জন আদিবাসী, ছাব্বিশ জন অবাঙালি, আটজন সংখ্যালঘু,দুজন মতুয়া সম্প্রদায়ের মেয়ে রয়েছেন।
advertisement
দূরের পাত্র পাত্রী ও তাঁদের আত্মীয় পরিজনরা বৃহস্পতিবারই বর্ধমানে এসে গিয়েছেন। আগামিকাল শুক্রবার অর্থাৎ বিয়ের দিন সকালে সব পাত্র জমায়েত হবে বর্ধমানের টাউনহলে। সেখানে অনুষ্ঠিত হবে গায়ে হলুদ পর্ব। এরপর সেই হলুদ নিয়ে যাওয়া হবে বর্ধমানের কাঞ্চনকন্যা অনুষ্ঠান হলে। সেখানে থাকছেন পাত্রীরা। দুপুরে পাত্রদের টোটোয় চাপিয়ে বিশাল শোভাযাত্রা করে পাত্রদের বিয়ের আসরে নিয়ে যাওয়া হবে। শোভাযাত্রায় থাকছে তিরিশ রকমের বাজনা।
বিধায়ক খোকন দাস বলেন, ‘এবার আমাদের গণবিবাহের দ্বাদশ বর্ষে পড়ল। ইতিমধ্যেই আমরা হাজারের বেশি পাত্র পাত্রীর বিয়ে দিয়েছি। তাঁদের সকলের মঙ্গল কামনায় গণবিবাহের আগে বিশাল এক যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে।’
