বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে ঠাকুর প্রথম বরণ করে ছেলেরাই l নবমী পর্যন্ত প্রতিদিন চণ্ডীপাঠ হয় l আগে বলি হলেও এখন আর বলি হয় না৷ তার বদলে নাড়ু ও চিনি দেওয়া হয় মায়ের উদ্দেশ্যে l দশমীতে সন্ধেয় একটা তারা দেখে বিসর্জন দেওয়া হয় মায়ের l ওইদিনই পরের বছরের পুজোর জন্য ঘট স্থাপন করা হয় ঠাকুরদালানে l এক সময় এই বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির ঠাকুর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ভিড় করতেন এই বাড়িতে l লোক সমাগমে ভরে উঠত ঠাকুর দালান। এখনও গ্রামের প্রচুর মানুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে অষ্টমী পুজো দিতে আসেন l এখন পুজো পরিচালনা করেন দীপ্তি নাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা l
advertisement
ঠাকুর বানানো থেকে পুজোর সমস্ত ব্যবস্থাপনা ছয়ঘড়িয়াতে বসেই সামলান রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় নাতি ও নাতবউ চন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় ও শোভা বন্দোপাধ্যায় l পুজোর ক'দিন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সমস্ত সদস্যরাই ছয়ঘড়িয়া বাড়িতে এসে কাটান lএক একান্নবর্তী পরিবারের চেহারা নেয় তখন এই বাড়ি।
এবছর করোনা অতিমারি। সরকারের নানান নির্দেশ। আর করোনার সংক্রমণ বাঁচিয়ে পুজোর ক'দিন সমস্ত আচার-আচরণ কেমন ভাবে পালিত হবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা l বনগাঁ মহকুমায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে প্রতিদিন। আর তার জেরেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পুজো আয়োজকদের। পুজো আয়োজক ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ঠকুরদালানে প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে এখন পুরোদমে।, পুজোর জন্য প্রস্তুতিতে মেতে আছেন তারা। সরকারের পরামর্শ মেনে এবারের বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয় মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক, জানান তিনি।প্রতিবছর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উন্মাদনা থাকে। করোনা অতিমারির কারণে সেই পুজোও এবার হয়তো বা একটু ফিকে হয়ে যাবে lতাতে আপশোষ নেই বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের।