১৭৪১ সাল৷ বর্গি এল বাংলায়। সূদুর মরাঠা থেকে নবাবের বাংলাকে লুঠতে এলেন দস্যু ভাস্কর পন্ডিত। ডেরা করেছিলেন অখণ্ড বর্ধমানের দাঁইহাটে। গঙ্গার ধারের সাবেকবাটি গ্রামে শুরু করেছিলেন দুর্গাপুজো। পরের বছর সাতাশে সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সোনার দুর্গা। ইতিহাস বলে, এই পুজো আর শেষ হয়নি। ভাস্করকে উৎখাত করতে দাঁইহাটে সেনা পাঠান বাংলার নবাব আলিবর্দি খান। তাই অষ্টমীর পুজো অসম্পূর্ণ রেখেই পালিয়েছিলেন ভাস্কর।
advertisement
লুঠেরা ভাস্কর নেই। কিন্তু দুশো আটাত্তর বছর পর রয়ে গিয়েছে তাঁর দুর্গা। দেবীদের হাতেই। এককথায় খণ্ডহর। কিন্তু পুজোর পাঁচদিন একেবারে অন্যরকম সাবেকবাটির এই পুজো দালান। গত বিশ বছর এলাকার মেয়েরাই দায়িত্ব নিয়েছেন মায়ের পুজোর। দস্যুর সোনার দুর্গা, আজ তাঁদের ঘরের উমা। ছেলেরা হাত বাড়ালেও এলাকার নারী শক্তির কাঁধেই এই পুজো। তাই পঞ্চমী থেকেই শুরু হয়ে যায় উৎসব। দস্যুর পুজো। কিন্তু হয় না কোনও বলি। বরং নবমীর দিন রীতি মেনে কুমারী পুজো।
সুড়কির দেওয়ালে আজ বয়সের ছাপ। আগাছার গা বেয়ে দেখা যায় নীল আকাশ। আর কয়েকদিন পরেই বাদ্যি বাজবে সাবেকবাটিতে। নতুন করে সাজবে এই দালান। কাসর-ঘণ্টার আওয়াজে নতুন রূপ পাবে ভাস্করের দুর্গা।