পোলট্রি মুরগীর অজানা রোগে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ও আউশগ্রামের মুরগী খামারীরা। কেন মুরগী মারা যাচ্ছে, সে কারণ খামার মালিকদের কাছে স্পষ্ট নয়। এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে মুরগীর মরক চলতে থাকায় লোকসানের মুখোমুখি হতে চলেছেন তাঁরা। বাজারে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন- মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন প্রসব যন্ত্রণা! হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দিলেন সুমা খাতুন
advertisement
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটি কোনওভাবেই বার্ড ফ্লু’ র ঘটনা নয়। নানা কারণে মুরগী মারা যেতে পারে। তাপমাত্রার ওঠানামাও অন্যতম কারণ হতে পারে। সকাল ও রাতে ঠান্ডা থাকছে। দিনে আবার গরম। এই সময় রোগ বৃদ্ধি পায়।
মুরগীর খামারের মালিকরা বলছেন, প্রায় সবার খামারেই গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার মুরগী মারা যাচ্ছে। ছোট মুরগী থেকে বড় মুরগি সবাই আক্রান্ত হচ্ছে। প্রথমে ঝিমুনির মতো হচ্ছে। এর পর ধীরে ধীরে সেই সব মুরগী মারা যাচ্ছে। কোনও চিকিৎসাই কাজে আসছে না।
জেলায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখন কন্ট্রাক্ট ফাঁমিংয়ের মাধ্যমে মুরগী চাষ হয়। সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের খাটুনি, লেবার চার্জ এবং তুষের জন্য বড় অঙ্কের খরচ সবটাই বহন করতে হচ্ছে। এসব মৃত মুরগী গর্ত করে মাটিতে পুঁতে দিচ্ছেন খামার মালিকরা। এই থেকে যাতে আর কোনও রোগ না ছড়ায় সে কথাও মাথায় রেখেই মৃত মুরগী পুঁতে ফেলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী! অভিযুক্ত চার বন্ধু, আসানসোলে বিভীষিকা
চুক্তিতে কাজ করা খামার মালিকরা জানাচ্ছেন, রোগ হলে কোম্পানির লোক আসছে। কিছু ওষুধ প্রয়োগ করছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাজ হচ্ছে না। যাঁরা ব্যক্তিগতভাবে চাষ করেন তাদের বড় ধরণের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কী রোগ হচ্ছে বুঝতে পারছেন না খামার মালিকরা।