আগে দুর্গা দালানে বসে গ্রামের মানুষরা পুজো দেখতেন। মন্দিরের পাশেই দোতলায় খড়খড়ির আড়াল থেকে পুজো দেখতেন পরিবারের মহিলারা। তখন এই পরিবারের মহিলারা পর্দানসীন ছিলেন। আড়াল থেকে অঞ্জলি দিতেন তাঁরা। সেই রীতি মেনে এখনও বাড়ির মহিলারা অঞ্জলি দিতে যাবার আগে পুজো দালান কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়৷ মহিলারা চলে যাবার পরে তা খুলে দেওয়া হয়।
advertisement
মনিরামবাটি জমিদার বাড়িতে মহালয়ের পরের দিন প্রতিপদে পুজো শুরু হয়৷ মনিরামবাটির দুর্গা দালানে ঢুকলেই দেখা যাবে একটা ভগ্নস্ত্তপের মধ্যে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা৷ পুজোর আগে এলাকার সমস্ত আর্বজনা, জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করা হয়৷ পুজোর সমস্ত আয়োজন করেন পুরুষরা ৷ এখনও পুজোর সময়ে আসা পরিবারের সদস্যরা এখানেই থাকেন৷ দশমীর দিন প্রতিমা নিরঞ্জনের পরে সকলকে মিষ্টিমুখ করানো হয় ৷ পরে রাতে গোটা গ্রামের লোককে খাওয়ানো হয় দুর্গা দালানে বসিয়েই ৷
পুরানো দিনের রীতি মেনেই এখনও এই প্রথা চলে আসছে। এক চালের তৈরি সাবেকি প্রতিমা ৷ এখনও পুরনো রীতি মেনেই গ্রামে বিধবাদের হাত দিয়ে ধুনো পোড়ানো হয় ৷ জমিদারি দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বলেন, ‘গ্রামের ও পরিবারের যারা বিধবা রয়েছেন, অষ্টমীর সন্ধি পুজোর শেষে নবমী তিথিতে তাদের নতুন পোশাক পরানোর পরে সকলেরই হাতে ধুনো রাখা হয়৷ এরপরে আগুন জ্বালানো হয়৷ শুধু বসেই নয় বিভিন্ন ভাবে শুইয়েও তাদের উপরে ধুনোর পাত্র রেখে ধুনো পোড়ানো হয়৷ এ ছাড়াও এখনও আমাদের পুরানো প্রধা মেনেই কুমারী পুজো হয় ৷’ মনিরামবাটির এই ধুনো পোড়ানোর অনুষ্ঠান দেখতে এখনও ভিড় জমান অনেকেই৷