TRENDING:

মনিরামবাটি জমিদারবাড়ি পুজোর ধুনো পোড়ানো দেখতে আজও অগণিত উৎসাহী ভিড় করেন

Last Updated:

পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের মনিরামবাটি জমিদার বাড়ির দুর্গা মণ্ডপের ভেতরের দেওয়াল জুড়ে থাকা কাজ আজও অবাক চোখে দেখতে হয়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শরদিন্দু ঘোষ, বর্ধমান: একেবারেই ভঙ্গপ্রায় জমিদারবাড়ি। চারদিকে গা ছমছমে পরিবেশ। তার সামনেই বয়সের ভারে জীর্ণ দুর্গা দালান। তারই মধ্যে ধরা দেয় তিনশো বছর আগের আভিজাত্য ও জৌলুস ৷ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের মনিরামবাটি জমিদার বাড়ির দুর্গা মণ্ডপের ভেতরের দেওয়াল জুড়ে থাকা কাজ আজও অবাক চোখে দেখতে হয়।
মনিরামবাটি জমিদারবাড়ি পুজোর ধুনো পোড়ানো দেখতে আজও অগণিত উৎসাহী ভিড় করেন
মনিরামবাটি জমিদারবাড়ি পুজোর ধুনো পোড়ানো দেখতে আজও অগণিত উৎসাহী ভিড় করেন
advertisement

আগে দুর্গা দালানে বসে গ্রামের মানুষরা পুজো দেখতেন। মন্দিরের পাশেই দোতলায় খড়খড়ির আড়াল থেকে পুজো দেখতেন পরিবারের মহিলারা। তখন এই পরিবারের মহিলারা পর্দানসীন ছিলেন। আড়াল থেকে অঞ্জলি দিতেন তাঁরা। সেই রীতি মেনে এখনও বাড়ির মহিলারা অঞ্জলি দিতে যাবার আগে পুজো দালান কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়৷ মহিলারা চলে যাবার পরে তা খুলে দেওয়া হয়।

advertisement

আরও পড়ুন- "এত সুন্দর আয়োজন করেছে জেলাগুলো..." চেতলা অগ্রণী থেকে ভার্চুয়াল উদ্বোধনে জেলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ মমতা

মনিরামবাটি জমিদার বাড়িতে মহালয়ের পরের দিন প্রতিপদে পুজো শুরু হয়৷ মনিরামবাটির দুর্গা দালানে ঢুকলেই দেখা যাবে একটা ভগ্নস্ত্তপের মধ্যে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা৷ পুজোর আগে এলাকার সমস্ত আর্বজনা, জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করা হয়৷ পুজোর সমস্ত আয়োজন করেন পুরুষরা ৷ এখনও পুজোর সময়ে আসা পরিবারের সদস্যরা এখানেই থাকেন৷ দশমীর দিন প্রতিমা নিরঞ্জনের পরে সকলকে মিষ্টিমুখ করানো হয় ৷ পরে রাতে গোটা গ্রামের লোককে খাওয়ানো হয় দুর্গা দালানে বসিয়েই ৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

পুরানো দিনের রীতি মেনেই এখনও এই প্রথা চলে আসছে। এক চালের তৈরি সাবেকি প্রতিমা ৷ এখনও পুরনো রীতি মেনেই গ্রামে বিধবাদের হাত দিয়ে ধুনো পোড়ানো হয় ৷ জমিদারি দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বলেন, ‘গ্রামের ও পরিবারের যারা বিধবা রয়েছেন, অষ্টমীর সন্ধি পুজোর শেষে নবমী তিথিতে তাদের নতুন পোশাক পরানোর পরে সকলেরই হাতে ধুনো রাখা হয়৷ এরপরে আগুন জ্বালানো হয়৷ শুধু বসেই নয় বিভিন্ন ভাবে শুইয়েও তাদের উপরে ধুনোর পাত্র রেখে ধুনো পোড়ানো হয়৷ এ ছাড়াও এখনও আমাদের পুরানো প্রধা মেনেই কুমারী পুজো হয় ৷’ মনিরামবাটির এই ধুনো পোড়ানোর অনুষ্ঠান দেখতে এখনও ভিড় জমান অনেকেই৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
মনিরামবাটি জমিদারবাড়ি পুজোর ধুনো পোড়ানো দেখতে আজও অগণিত উৎসাহী ভিড় করেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল