জেলা থেকে সহজেই পাড়ি দিচ্ছে ভিন রাজ্য থেকে ভিন দেশে। স্বাদে এবং মানে চাহিদা বেশি হিমসাগরেরই। গরমের অন্যতম জনপ্রিয় ফল আম। বাগান মালিকরা সাত লক্ষ টাকাতে আমের বাগান নেওয়া হলেও চার লক্ষ টাকা মুনাফা হবেই বলেই ধারণা আমের বাগান কর্মীদের। ফলে চরম সংকটে ফরাক্কার আম চাষিরা। আম বিক্রি করে চাষের খরচ উঠবে না বলে দাবি করেছেন আম চাষিরা।
advertisement
চাষিরা জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান আছে। এই অঞ্চলের বহু মানুষ এই আম বাগানের উপর নির্ভরশীল। অনেকে আবার অন্যের বাগান ঠিকাতে নিয়ে আম চাষ করেন। কৃষকদের দাবি, গত বছর আমের ফলন ভাল হয়েছিল। কিন্তু দাম ছিল না। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর আম উৎপাদনের হার মাত্র পাঁচ শতাংশ। যার ফলে অন্যান্য রাজ্যে বা কলকাতায় আম পাঠানো বন্ধ হয়ে গেছে। ফরাক্কার আম স্থানীয় বাজারের চাহিদা মেটাতে বিক্রি হচ্ছে সেখানে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এবছর শতকরা পাঁচ শতাংশ আমের ফলন হয়েছে। অবস্থা এতটাই বেহাল যে, প্রতি গাড়িতে ৬০ মণ আম রফতানি করা হয়, কিন্তু সেটুকু আমের জোগানও নেই এই বছর। স্বভাবতই বাগান লিজে নেওয়ার যে খরচ সেই খরচের টাকাও উঠবে না বলেই দাবি আম চাষিদের। যদিও সরকারি আধিকারিকদের দাবি, বৃষ্টি না হওয়ায় মুকুল ঝরে গেছে। এছাড়াও গাছের ঠিক মত যত্ন না নেওয়ায় মুকুল কিছুটা নষ্ট হয়েছে। তাই আমের ফলন কম। যদিও নতুন করে লাগানো গাছে বা ছোট বাগান যেগুলো আছে সেগুলোতে আমের ফলন ভালো হয়েছে। বছরে একবার স্প্রে ও সার দেওয়া উচিৎ বলেও জানিয়েছেন তাঁরা ।
কৌশিক অধিকারী





