সকাল থেকেই এদিন রোদের তেজ মালুম হচ্ছিল। বেলা একটা নাগাদ গরম হলকা হাওয়া বইতে শুরু করে। এই মরশুমের প্রথম লু অনুভূত হয় এদিনই। বেলা তিনটের পর আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। সেই সঙ্গেই শুরু হয় বৃষ্টি। কোথাও মাঝারি আবার কোথাও মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। তার সঙ্গেই শিলাবৃষ্টি হয় গলসির বিস্তীর্ন এলাকায়। বাসিন্দারা বলেন, বৃষ্টির থেকেও বেশি হয়েছে শিলাবৃষ্টি। শিলার আকারও নেহাত কম ছিল না। শিলাবৃষ্টিতে আমের সব মুকুল ঝড়ে গিয়েছে। অনেক সবজি চাষেরও ক্ষতি হয়েছে। বেশ কিছু অ্যাসবেসটসের বাড়িও ক্ষতির সামনে পড়েছে।
advertisement
প্রচন্ড গরমের পর বৃষ্টির হাত ধরে তাপমাত্রা কমেছে বর্ধমান শহরে। গরম কমায় স্বস্তি ফিরলেও করোনায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা বলছেন, বেশি তাপমাত্রায় করোনা ভাইরাস বাঁচে না বলে শোনা যাচ্ছে। তাই গরমে কষ্ট হলেও ঠান্ডা চাইছেন না অনেকেই। গরমে করোনার সংক্রমণ কমার সম্ভাবনা থাকলে গরম সহ্য করতে তৈরি অনেকেই। চিকিৎসকরা অবশ্য বলছেন, তাপমাত্রা বাড়লে করোনার সংক্রমণ কমবেই তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা আপাতত আরও কিছুদিন পরিষ্কার আকাশ চাইছেন। তাঁরা বলছেন, এখন জোর কদমে আলু তোলার কাজ চলছে। আলু মাঠে রেখে বস্তায় ভরে হিমঘরে পাঠানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে চলছে পেঁয়াজ তোলার কাজ। এখন বৃষ্টি হলে সে সব থমকে যাবে। শিলাবৃষ্টি হলে আলু পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা। এমনিতেই এবার আমের মুকুল কম এসেছে। শিলাবৃষ্টি হল কিছুই প্রায় অবশিষ্ট থাকবে না।
SARADINDU GHOSH
