অভিযোগ, বুধবার রাতে কালীপুজোর বিসর্জনের সময় এক পুজো কমিটির সদস্য রঞ্জিত কর্মকারের সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর মৃন্ময় দাসের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের বচসা বাধে। পরে ফেরার পথে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তারকনাথ কলোনি এলাকায় রঞ্জিতের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, অভিযোগ পরিবারের।
মিটিংয়ে ফেঁসে গেছি…নিড হেল্প!’ DM-এর মেসেজ পেয়ে ঘাবড়ে যান আধিকারিকরা, তড়িঘড়ি এসেই সর্বনাশ, এ কী হল?
advertisement
অগ্নিদগ্ধ যুবকের স্ত্রী ও শালিকার দাবি, ঘটনার পর কাউন্সিলর মৃন্ময় দাস ও তাঁর অনুগামীরা তাঁদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়—ঘটনা জানালে পরিণতি খারাপ হবে বলে ভয় দেখানো হয়।
পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে, কাউন্সিলরের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে অভিযোগ উঠলেও এখনো পর্যন্ত কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এটাই প্রথম নয়—এর আগেও একাধিক বিতর্কে নাম জড়িয়েছে মৃন্ময় দাসের।
ঠিক এক বছর আগে কালীপুজোর সময় দলেরই তৃণমূল কর্মী কৃষ্ণ সাউকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। কৃষ্ণ সাউ তখন ৩০ দিনেরও বেশি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, পরবর্তীতে ভয় পেয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় রাজনৈতিক দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। ঘটনার জেরে ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ দমদমের বেদিয়াপাড়া এলাকা। ঘটনা নিয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। গোটা বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
