এ ব্যাপারে জেলার বাসিন্দাদের সচেতন করছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ।গ্যাসের ভর্তুকির ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ওটিপি জেনে অ্যাকাউন্টের টাকা গায়েব করে দেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ আসছে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ইতিমধ্যেই কালনা এবং মন্তেশ্বর থানা এলাকায় এভাবে কয়েকজন ব্যক্তি সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
তাঁদের কেউ কেউ ইতিমধ্যেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। মন্তেশ্বর থানার বুধপুরের বাসিন্দা অমর দের কাছে এরকমই ফোন আসে। ফোনের অন্যপ্রান্ত থেকে বলা হয় আপনার জমে থাকা গ্যাসের ভর্তুকির টাকা একসঙ্গে ঢুকবে। তার জন্য অ্যাকাউন্ট নম্বর লাগবে। অমরবাবু অ্যাকাউন্ট নাম্বার দেন। অপর দিক থেকে বলা হয় আপনার ফোনে একটি ওটিপি গেছে। সেই নম্বরটা জানতে চাওয়া হয়।
advertisement
অমরবাবু ওটিপি দিতেই তাঁর অ্যাকাউন্টে থাকা চার হাজার ৮৩৩ টাকা তুলে নেওয়া হয়। একইভাবে কালনা শহরের জাপট পাড়ার বুদ্ধদেব দাসের কাছ থেকেও একই কায়দায় ওটিপি জেনে নিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে কুড়ি হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এ রকমই অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি গ্যাসের গ্রাহকদের অনেকের অ্যাকাউন্টেই ভর্তুকি টাকা ঢুকছে না। সেই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে প্রতারকরা। তাদের একটাই উদ্দেশ্য অ্যাকাউন্ট নম্বর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য হাতে পাওয়া। এরপর তারা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন, দক্ষিণ আফ্রিকায় গ্য়াস ট্য়াঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, হতাহত বহু! দগ্ধ হয়ে রাস্তায় ছুটছেন মানুষ
আরও পড়ুন, বড়দিনের আনন্দে বড় কোপ! সঙ্গী খারাপ আবহাওয়া? জানুন হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস
জেলা পুলিশের আধিকারিকরা বলছেন, কখনোই কোনও অপরিচিত ব্যক্তিকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত কোনও তথ্য দেবেন না। তাতে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতারকেরা প্রতিদিনই নিত্য নতুন ফন্দি আঁটছে। কখনও ইলেকট্রিক বিল বাকি আছে বলে এসএমএস পাঠাচ্ছে, কখনও আবার গ্যাসের ভর্তুকি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার ছক করছে।