পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম রাজা ভৌমিক (৪৯)৷ তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার জোনাল ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন৷ পাশাপাশি নিজস্ব ব্যবসাও ছিল তাঁর৷
নিহতের স্ত্রী মুনমুন ভৌমিকের অভিযোগ, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ আচমকাই তিন থেকে চার জনের একটি দুষ্কৃতীদল তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে৷ প্রথমে দোতলায় রাজা ভৌমিকের ঘরে চলে যায় তারা৷ এর পর নীচে এসে মুনমুনদেবীর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁর শরীরে থাকা সোনার অলঙ্কার খুলে নেয় তারা৷ পাশাপাশি আলমারি খুলে লুঠ করা হয় নগদ টাকা এবং সোনাদানা৷ প্রত্যেকেরই মুখ বাঁধা ছিল বলে জানিয়েছেন নিহতের স্ত্রী৷
advertisement
এর পরেই ওই দুষ্কৃতীরা মুনমুনদেবীকে টানতে টানতে দোতলায় নিয়ে যায় বলে অভিযোগ৷ বাধা দিতে গেলে মুনমুনদেবীর স্বামীকেও মারধর করা হয়৷ এর পরে একটি ঘরে মুনমুনদেবীকে বন্দি করে দেয় দুষ্কৃতীরা৷ তখনই পর পর দুটি গুলির আওয়াজ পান তিনি৷
কিছুক্ষণ পর মুনমুনদেবীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন৷ তাঁরাই দরজা খুলে মুনমুনদেবীকে উদ্ধার করেন৷ পাশের ঘরে গিয়ে দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রাজা ভৌমিক৷ তাঁর মাথায় গুলির আঘাত ছিল৷
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বন্ধ রপ্তানি, বাড়ল জোগান! কতটা দাম কমতে পারে পেঁয়াজের?
স্থানীয়দের তৎপরতায় রাজাবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয় বাদকুল্লা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহকুমা পুলিশ বর্গে পাঠানো হয়।
যদিও খুনের প্রকৃত কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ব্যবসায়িক শত্রুতা নাকি পারিবারিক কোনও অশান্তির জেরে এই খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ শুধুমাত্র লুঠপাটই উদ্দেশ্য হলে কেন রাজা ভৌমিককে খুন করা হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ অভিযুক্তদের চিহ্নিত করারও চেষ্টা চলছে৷ ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়৷ নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের বিবরণও নিয়েছে পুলিশ৷