আবারও রেলের উদাসিন মানসিকতা। কাঠগড়ায় হাওড়া স্টেশন ও ডাক বিভাগের আধিকারিকরা। ভবানীপুরের বাসিন্দা, রঞ্জন চক্রবর্তী হাওড়া স্টেশনের ডাক বিভাগের অস্থায়ী কর্মী। প্রতিদিনের মতোই শুক্রবার কাজে যান তিনি। বিকেল চারটে নাগাদ আচমকা অসুস্থ হয়ে টেবিলেই লুটিয়ে পড়েন। জ্ঞান ছিল না। সহকর্মীরা ডাক বিভাগের আধিকারিকদের খবর দেন। কিন্তু, দেখেও দেখেননি তাঁরা।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দূরের কথা। এক আধিকারিক চিকিৎসকের ভূমিকা নিয়ে জানিয়ে দেন মারা গেছেন রঞ্জন চক্রবর্তী। ইটিভি নিউজ বাংলার প্রতিনিধি পৌঁছতেই গা ঢাকেন ডাক বিভাগের প্লাটফর্ম ইন্সপেক্টর, অতিরিক্ত সুপার।
advertisement
বিকেল চারটে থেকে রাত আটটা। চার ঘণ্টা পর টনক নড়ে আধিকারিকদের। RPF ও GRP সাহায্য নিয়ে অ্যাম্বুলান্সে করে রঞ্জন চক্রবর্তীকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, ততক্ষণে সব শেষ। এরপরই ডাক বিভাগের কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযোগ, নাম মাত্র মজুরিতে অমানুষিক কাজের চাপ। রয়েছে আধিকারিকদের অবহেলা, লাঞ্ছনা, হুমকি।
গত বুধবার চিকিৎসা না পেয়ে শালিমার স্টেশনেই মৃত্যু হয় চেন্নাইয়ের বাসিন্দা শাকিলা খাতুন।
গত শনিবার আপ মিথিলা এক্সপ্রেসে একইভাবে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় মহম্মদ কারামতের। দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টা আসানসোল জংশনেই পড়ে থাকে দেহ।
এবার হাওড়া স্টেশনে অবহেলায় খোদ ডাক বিভাগের কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু। বত্রিশ বছর ধরে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করে গেছেন। পরিবারের হাল ছিল রঞ্জন চক্রবর্তীর অশক্ত কাঁধে। কেন পদক্ষেপ করলেন না রেল ও ডাক বিভাগের আধিকারিকরা? প্রশ্ন তুলেছেন সহকর্মীরা।
