গতকালকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন রাণাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ ও এই জেলার বিজেপি বিধায়কদের। একই সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন এই জেলায় উন্নয়নের কাজ রাজ্য সরকারের তরফেই করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোট ও বিধানসভা ভোটে এ জেলায় গেরুয়া শিবিরের দাপট লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভোট ব্যাঙ্ক নিজেদের দিকে জোরদার করেছে তারা। এই মুহূর্তে কল্যাণী, রানাঘাট দক্ষিণ, হরিণঘাটা, রানাঘাট উত্তর পশ্চিমে বিজেপিরই বিধায়ক রয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: 'কোথায় সিএএ করবে?' জীবন দিয়ে মতুয়াদের রক্ষার অঙ্গীকার মমতার
কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কও জিতেছিলেন বিজেপির টিকিটে। যদিও এ কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুল রায় পরে তৃণমূলে যোগ দেন। অন্যদিকে, এ জেলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি বিজেপির। রানাঘাটের সাংসদ বিজেপির জগন্নাথ সরকার। নিঃসন্দেহে এই জেলা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে আগামী পঞ্চায়েত ভোটে। এ জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোট। গত দুই ভোটে সিএএকে সামনে রেখে বিজেপি ভালই ভোট পায় এখানে। তাছাড়া নদিয়া জেলার একটা বড় অংশ বনগাঁ লোকসভার মধ্যে পড়ে। সেখানে রয়েছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের ঠাকুর পরিবারের অন্যতম মুখ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
আরও পড়ুন: ঝগড়া করলে ব্রেন খারাপ হয়ে যায়, ঝগড়া চললে সম্পর্ক রাখব না: মমতা
পঞ্চায়েত ভোটে এখানে শক্তি বাড়াতে মরিয়া বিজেপি। তৃণমূলও কামড় দিতে চাইছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করেই নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি পরিষেবা খতিয়ে দেখে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে আরও তৎপরতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল জনসভার মঞ্চ থেলেই দলের বিধায়ক বা বাকি সদস্যদের একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। আজ প্রশাসনিক বৈঠকে কী বার্তা দেন সেটাই দেখার।
