সোমবার দুপুরেই বোলপুর পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু বোলপুর নয় এবারের সফরে মালদহ, পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার মালদহ জেলার পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ও একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে গেরুয়া আক্রমণে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষের সুরে অমর্ত্য সেনকে বলেছেন, 'বিদেশে গিয়ে ছুটি কাটান, একদম বিশ্রামে থাকুন।' এরপরেই অর্থনীতিবিদের বাড়ি পৌঁছন মমতা৷
advertisement
বিশ্বভারতীর সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ফের উষ্মা প্রকাশ করেন অমর্ত্য সেন। বিশ্বভারতীর পড়ুয়া-অধ্যাপকেরা 'প্রতীচী' বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন তিনি। কথোপকথনে বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতি ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ভূমিকা নিয়ে নানান মন্তব্য করেন ভারতরত্ন অমর্ত্য সেন। যশান্তিনিকেতনের বাড়িতে বসে এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বভারতীর শিক্ষার মান থেকে শুরু করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ভূমিকা, পড়ুয়াদের বহিষ্কার প্রসঙ্গে সমালোচনা করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।এরপরেই ফের জমি ফেরত চেয়ে তাঁকে চিঠি দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শান্তিনিকেতনের 'প্রতীচী' বাড়িতে ১৩ ডেসিম্যাল অতিরিক্ত জমি রয়েছে, যা বিশ্বভারতীর। সেই জমি ফেরত চাওয়া হয়। প্রয়োজনে অমর্ত্য সেনের আইনজীবীর উপস্থিতিতে জমি জরিপের প্রস্তাবও দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র। এমনকি, বুধবারের উপাসনা গৃহের বসে নাম না করে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে নিশানা করতে দেখা গিয়েছে। যা নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেছেন ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর সহ পড়ুয়া-প্রাক্তনীরা।
জমি বিবাদ নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে বিস্ফোরক ও চাঞ্চল্যকর দাবি করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি জানালেন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন কোনও নোবেল পুরস্কার পাননি। নিজের দাবির পক্ষে তাঁর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। পাশাপাশি তাঁর দাবি, জমি অমর্ত্য সেন দখলে করে রেখেছেন এবং বিশ্বভারতীর কাছে সমস্ত নথি আছে বলেই ফের দাবি করেন তিনি।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে ২৪ জানুয়ারি চিঠি দেওয়া হয়েছিল তিনি নাকি ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন। বিশ্বভারতীকে যখন জমিটা দেওয়া হয়েছিল সেই কাগজ আমি নিয়ে এসেছি। যে জমিটা লিজ়ে দেওয়া হয়েছিল তা ১.৩৮৮ একর। আর ওরা বলছে ১.২৫ একর। ‘এল আর’ রেকর্ড বলছে, ১.৩৮ একর। তাই অমর্ত্য সেন ঠিক বলছেন। ১৯৫৬ সালের ‘আরএস’ রিপোর্টেও একই তথ্য রয়েছে।’’