দলীয় কাজের সুবিধার্থে নদিয়া জেলায় বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক ভাগ রয়েছে তৃণমূলের। নদিয়া উত্তর তথা কৃষ্ণনগর ও রাণাঘাট সাংগঠনিক জেলাতেও রদবদল করা হয়েছে সম্প্রতি। শুধু কৃষ্ণনগরেরই ৪টি ব্লক-সহ গোটা জেলার ১২ টি ব্লক ও টাউনের সভাপতি, সহ-সভাপতির নাম নতুন করে ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূলের ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধি জেলা সংগঠনের অন্য কোনও পদে থাকতে পারবেন না। সেই কারণে নতুন অনেকের উপরই দায়িত্ব বর্তেছে।
advertisement
বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্যের শাসকদলের কাছে গ্রামাঞ্চলের মানু্ষের বোঝার সুবর্ণ সুযোগ। বিশেষত সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে, যেখানে দলের হেভিওয়েট নেতারা যেভাবে দুর্নীতির অভিযোগে জড়িয়ে পড়ছেন, তাতে ভাবমূর্তি বেশ খানিকটা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য। আর তা পুনরুদ্ধার করতে জেলা একেবারে তৃণমূল স্তরের সংগঠন থেকে স্বচ্ছতায় জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন শাসক দলের নেতৃত্ব। আর তা মাথায় রেখেই এহেন রদবদল করা হয়েছে নদিয়ার দুই সাংগঠনিক জেলায়। স্বচ্ছতায় সামান্য দাগ পড়লেও জনপ্রতিনিধিত্বের লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়তে হবে। প্রার্থী হওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন- হাওয়া বদলের গান! ২৬ উদীয়মান সুরতারকার সৃষ্টিতে ঋদ্ধ বাংলা সঙ্গীত-জগত
বারবার দলকে এই বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা নজরে রেখেই জেলা সংগঠনগুলিতে আমুল বদল করা হচ্ছে। জেলা সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত যেসব পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে সামান্যতম অভিযোগও উঠেছে, তাঁরাই বাদ পড়ছেন। নতুন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন নেতাকেই তুলে আনা হচ্ছে তাঁর জায়গায়। জেলা সংগঠন সাজাতে গিয়েও সেদিকেই বাড়তি নজর দিয়েছে তৃণমূল। জেলার যুব, মহিলা সংগঠনে বেশ কিছু রদবদল এনে প্রকাশ করা হয়েছিল নতুন তালিকা। পরিবর্তন এসেছে দায়িত্বের নিরিখেও।