হাঁটাচলা করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল ওই কিশোরের। এক বছর পর পায়ের প্লেট বের করার জন্য সাগরকে পুনরায় নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে এই অপারেশনের জন্য কোন আর্থিক সুবিধা নেই। অপারেশনটি করতে খরচ অনেক। বাবা সামান্য দিনমজুরের কাজ করে যা উপার্জন হয় তা দিয়েই কোনরকমে চলে তাদের সংসার।
advertisement
কিন্তু এত বড় অপারেশন করতে এত টাকা জোগাড় করতে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন সাগরের মা মিনতি কর্মকার। এদিকে ছেলের অপারেশনটাও ছিল তাদের কাছে খুব জরুরি। সাহায্যের আশায় স্থানীয় চুঁচুড়া বিধায়ক অসিত মজুমদারের কাছে যান সাগরের মা। বিধায়ককে সমস্ত ঘটনা জানান মিনতি।
সব শুনে বিধায়ক বলেন, ”কিশোরের পরিবার আমার কাছে এসেছিল। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে যে অপারেশন হয়েছে কিন্তু ভেতরে প্লেট রয়েছে। সেটি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ছড়ানো যাবে না। দল মত নির্বিশেষে মানুষ আমাদের কাছে এলে আমরা সাহায্য করি। সেইমতো আমি মুখ্যমন্ত্রীর ডিপার্টমেন্টের কাছে চিঠি লিখে দিয়েছিলাম। সেখান থেকে চুঁচুড়ার অজন্তা নার্সিংহোমে চিঠি আসে এবং তারা কিশোরের অপারেশন করে এবং সফল হয়। মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ড থেকে তারা টাকা পায়।”
বেসরকারি নার্সিংহোম সূত্রে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর নার্সিংহোমে ভর্তি হয় ওই কিশোর। এরপর তার সফলভাবে অস্ত্রোপচার করে প্লেটটি বার করা হয়। দুদিন সেখানে ভর্তি থাকার পর হাসপাতাল থেকে তাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।
