মমতা জানান, ১৫০০ হেক্টর জমি গঙ্গার জলে ভেসে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েও লাভ হয়নি। তাঁর কথায়, “ভোট আসলে বৈষম্যের রাজনীতি করতে আসে কেন্দ্র। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে ভাগাভাগি করতে আসে। আর বন্যার জলে যখন ভেসে যায় তখন কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।”
আরও পড়ুন- বাড়ির জলের ট্যাঙ্কে ফেলে রাখুন এই ‘এক টুকরো’ কাঠ…! সারাজীবন পরিষ্কার থাকবে জল, অবিশ্বাস্য!
advertisement
আরও পড়ুন- ট্রেনের রিজার্ভেশন পেতে নাজেহাল? সুখবর! ২০ জানুয়ারি থেকে এমনিই চড়তে পারবেন, জানুন বিশদে!
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জেলার তিনটি আসনের তিনটিতেই শাসক দল তৃণমূল জয়লাভ করে। লোকসভা নির্বাচনের প্রচার বাদ দিলে জেলায় বিরোধী শূন্য করার পর মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে জেলা নেতৃত্ব বেশ উৎফুল্ল। জেলা নেতাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী সভামঞ্চ থেকে জেলার মানুষকে বেশ কিছু প্রকল্পে সহায়তা প্রদান করবেন। সভায় মমতা বলেন, “বাংলার রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদ। জানুয়ারি মাস শুরু হল। এই জেলায় একদিকে আমের বাগান। একদিকে সিল্ক বিখ্যাত। আমি নবাব বাহাদুর ইন্সটিটিউটকে ধন্যবাদ জানাই। এই স্কুল ২০০ বছর হল। তাদের আমি শিক্ষা দফতর থেকে ২৫ লক্ষ টাকা দিলাম। আজ ১১২ প্রকল্প উদ্বোধন হল। আরও ৮৫ প্রকল্প দেওয়া হল।”
আরও পড়ুন- শিরা থেকে গলে গলে বেরোবে ‘বদ’ কোলেস্টেরল! শুধু এক সপ্তাহ মেনে চলুন এই ‘ডায়েট’, ফল হাতেনাতে!
মমতা আরও জানান, গঙ্গা ভাঙ্গনে শোচনীয় ব্যবস্থা। বাড়ি, ঘর সব তলিয়ে যায়। ভাঙ্গন রোধে একটা পরিকল্পনা ছিল কেন্দ্রের। সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখন আর তারা কিছু করে না। বাড়ি, জমি ডুবে গেলেও ওরা কিছু করে না। আমাদের টাকা দিয়ে কাজ করতে হয়। ওরা যদিও আমাদের টাকা আটকে রাখে। আজ ৬২ কোটি টাকা দেওয়া হল। আগে ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম।”
মমতার কথায়, “বাংলার বাড়ি আমরা সারা রাজ্যে এই ১৩ বছরে ৪৭ লক্ষ বাড়ি করে দিয়েছি। আমাদের সমীক্ষা বলছে আরও ২৮ লক্ষ পেতে পারে। আমরা ১২ লক্ষ-র টাকা দেওয়া শুরু করেছি। বাকি ১৬ লক্ষ-র টাকা ধাপে ধাপে পেয়ে যাবেন।”