প্রশাসনিক কর্তাদের মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবারের বাঁকুড়ার সভা থেকে স্পষ্ট বলেন, "যে এজেন্সি প্রথমে কাজ করে পড়ে বদমাইশি করে তাদের ব্ল্যাকলিস্ট করে দাও।" তিনি আরও বলেন, "জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি টেন্ডার করতে অনেক সময় নেয়। ওদের লোক ছাড়া টেন্ডার করে না। তাই ওদের সব কাজ দেবেন না।"
আরও পড়ুন: দগদগে গরম আর প্যাচ প্যাচে ঘামের মাঝেই আবহাওয়ার বড় Update! বাংলার বর্ষার প্রবেশ
advertisement
এখানেই শেষ নয়, প্রয়োজনে 'কানমলা' দাওয়াই দেওয়ার কথাও এদিন বলেন মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, "গত ৮ বছর ধরে পড়ে রয়েছে জল প্রকল্প, কানমলা খাওয়া উচিত যাঁরা দায়িত্বে আছেন তাঁদের।" মঙ্গলবার বাঁকুড়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার বিভিন্ন কাজকর্মের খোঁজ খবর করতে গিয়ে রায়পুরে একটি জল প্রকল্পে খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তথ্য হাতে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, আট বছর এই প্রকল্পটা পড়ে রয়েছে। ২১.২০ কোটি টাকার প্রকল্প। ২০১৪ সালে এই প্রকল্পটা ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু আপনারা আমাকে দেখাচ্ছেন, প্রজেক্ট আন্ডার প্রগ্রেস। যে ডিপার্টমেন্ট এটা করছে তার তো কানমলা খাওয়া উচিত সবার কাছে।"
আরও পড়ুন: আন্দোলনেই জয়? হাতে এল নিয়োগের 'সুপারিশ পত্র'! ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষিকার পাশে রাজ্য
কিষান মান্ডি নিয়েও এদিন সরব হন মমতা। কিষান মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে চেয়েও পারেনি কৃষক। তথ্য তুলে এদিন বলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রয়োজনে কিষান মান্ডিতেও সিসিটিভি রাখতে হবে। কাজে স্বচ্ছতা রাখতে লাল,হলুদ,সবুজ খাতা রাখার নির্দেশ দেন মমতা।
জেলা পরিষদের সভাধিপতিকেও এদিন জেলার কাজকর্ম নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জেলা পরিষদের সভাপতিকে মমতা প্রশ্ন করেন, টাকা তো নিয়েছেন, কী করেছেন? মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন উত্তর দিতে গিয়ে জেলা পরিষদের সভাপতি তাঁর কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। বলেন, রাস্তাঘাট, চেক ড্য়াম, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মমতা প্রশ্ন করেন, সবচেয়ে বেশি টেন্ডার কোন দফতর থেকে হয়? এর উত্তরে সভাপতি বলেন, পূর্ত দফতর থেকে অধিকাংশ টেন্ডার হয়। পাল্টা মমতা বলেন, পূর্ত দফতর কী সব টেন্ডার সময়মতো করে নাকি তা ফেলে রাখে নিজের পছন্দের লোককে দেওয়ার জন্য? কখনও কখনও টেন্ডার সময়মতো করলাম না, ফেলে রাখলাম নিজের লোককে দেওয়ার জন্য।