মুখ্যমন্ত্রীর এভাবে দোকানে চলে আসা কার্যত অবাক করেছে তাঁকে। এদিন সকাল থেকেই তাই চপ-চায়ের বিক্রি বেড়েছে মাগুরার বুদ্ধর দোকানে। বুদ্ধদেব মোহান্ত জানাচ্ছিলেন, ‘‘আগে প্রতিদিন ২০০ করে বিক্রি হত। কাল সন্ধ্যা থেকে সেই সংখ্যা বেড়ে গেছে৷ বহু মানুষ এসে আমার সাথে কথা বলছেন। মুখ্যমন্ত্রী কী কী বললেন আমাকে তা শুনতে চাইছে।’’ ফলে এই কথা-বার্তায় খানিকটা লজ্জিত হয়ে পড়েছেন তিনি ৷ তবে বুদ্ধদেব জানাচ্ছেন, ‘‘অনেক বড় বড় নেতা, অফিসার এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন৷ কিন্ত এভাবে আমার দোকানে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী চলে আসবেন এমনটা ভাবতে পারিনি আমি।’’ এর পরেই উনুনের সামনে গিয়ে ঝাঝরি হাতা নিয়ে চপ ভাজতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
advertisement
অবাক চোখে তখন সেই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করতে ব্যস্ত সবাই ৷ মুখ্যমন্ত্রীকে গরম তেলের সামনে দাঁড়িয়ে চপ ভাজতে দেখে কিছু পরামর্শ দেন বুদ্ধদেব ৷ মুখ্যমন্ত্রীকে তখন বলতে শোনা যায়, ‘‘ওরে আমি জানি, বাড়িতে রান্না করি তো ৷’’ চপ ভাজার পর সঙ্গে থাকা সাংবাদিক, নিরাপত্তা রক্ষী, সরকারি আধিকারিক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতেও তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ দোকানের বয়াম থেকে ক্যাডবেরি নিয়ে দেন স্থানীয় শিশুদের ৷
আরও পড়ুন- 'সব প্রাপ্য টাকা নিয়ে রাখছে', ফের কেন্দ্রকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর
ঝাড়গ্রামে সভা সেরে বেলপাহাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেখানে গিয়ে স্থানীয় আদিবাসী বাসিন্দাদের ঘরে ঢুকে পড়েন মমতা ৷ সেখানে বাড়ি, পানীয় জলের সংযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান স্থানীয়রা ৷ সেখান থেকে ফেরার পথেই বিনপুরের এই চপের দোকানে ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী ৷ দোকানে ভিড় করা স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘জানি আপনাদের কিছু কিছু সমস্যা আছে ৷ দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে যাবেন৷ শীতকালে বিকেল বেলায় আপনারা ফুরফুরে মেজাজে দোকানে বসে গল্প করছেন, এটাই তো আমাদের বাংলার সংস্কৃতি ৷ আপনারা ভাল থাকবেন ৷’’
দোকান থেকে বেরনোর আগে দোকান মালিক বুদ্ধদেবের হাতে চপ এবং ক্যাডবেরির দাম বাবদ টাকা দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বুদ্ধদেবকে তিনি আরও বলেন, ‘‘তোমাকে তো চপ খাওয়াতে পারলাম না, তুমি মিষ্টি খেও ৷ ’’