গতকাল উত্তর চব্বিশ পরগণার দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ দিন মেয়ো রোডে দলের ছাত্র সংগঠনের সভায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেউ কেউ বেআইনি কাজ করছে। পুলিশ চোখ বন্ধ করে দেখছে৷ লোকাল থানায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন তাঁরা কী করছেন আমি বললাম না। আমি অ্যান্টি কোরাপশন সেল চালু করেছি। তারা সব নজর রাখছে। অনেকের একটু লোভ বেশি৷ বাজি কারখানা নিয়ে আমরা দুটো বৈঠক করেছি।’
advertisement
দত্তপুকুরের ঘটনার পরেও এ দিন ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীর মুখে সবুজ বাজির কথা শোনা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো বহু পুরনো সমস্যা। আগে বালি, পাথর নিয়েও কোনও আইন ছিল না। আমরা তৈরি করেছি। আমি চাই সবুজ বাজি তৈরি হোক। কারণ এর সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকা জড়িয়ে আছে, আমি চাই তাঁরাও বাঁচুন৷ সবুজ বাজিতে হয়তো আয় একটু কম হবে, কিন্তু জীবন বাঁচবে।’
ইতিমধ্যেই দত্তপুকুরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করেছেন বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এ দিন সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
তবে শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয়, দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের পর স্থানীয় বাসিন্দারাও পুলিশের সঙ্গে বাজি কারবারিদের যোগসাজশের অভিযোগ তুলেছেন৷ শুধু পুলিশ নয়, বেআইনি ওই কারবারের কথা স্থানীয় বিধায়ক এবং রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষও জানতেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খাদ্যমন্ত্রী৷