গত লোকসভা নির্বাচনে এই জেলার তিন আসনের দুটি গিয়েছিল তৃণমূলের দখলে৷ বিধানসভা ভোটেও তৃণমূল কংগ্রেস এখানে ভাল ফল করেছে৷ কিন্তু সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের পরেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল৷ বিশেষ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ যখন বলছেন, এখানে জোটশক্তি মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। এই অবস্থায় শুক্রবার থেকে বুথ স্তরের সংগঠনের হাল হকিকত দেখতে ময়দানে নামছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: পণ্যবাহী পরিবহণের নিয়মে বিরাট বদল! ন্যাশনাল পারমিট নিয়ে এখন আরও কড়া রাজ্য পরিবহণ দফতর
প্রসঙ্গত, সাগরদিঘি উপনির্বাচনের হারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দুষেছে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি কমিটি। সাগরদিঘির নির্বাচনে হারের কারণ খুঁজতে ৫ সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, কমিটি অনুসন্ধান করে দেখেছে হারের কারণ একাধিক।
তবে, মূলত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সঠিক প্রচার ও সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে স্থানীয় মানুষ শাসকদলের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে বলে মনে করেছে কমিটি। যদিও, কমিটির এই রিপোর্টকে ‘মনগড়া রিপোর্ট’ বলে মনে করছেন বিক্ষুব্ধ জেলা নেতৃত্বের একাংশ।
আরও পড়ুন: একের পর এক ধসে পড়ছে বাড়ি! কী অবস্থা সমশেরগঞ্জের? পরিদর্শনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
২ মার্চ সাগরদিঘির ফল প্রকাশের পরে হারের কারণ পর্যালোচনা করতে ৫ সংখ্যালঘু মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই দলে ছিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সাবিনা ইয়াসমিন, গোলাম রব্বানি, জাভেদ খানেরা৷
এই কমিটি কয়েক দফায় বৈঠকের পর সাগরদিঘির হারের কারণ নিয়ে তাঁদের রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে। সেই রিপোর্ট নিয়েও বেজায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী। এদিন বৈঠকে হারের কারণ বিশ্লেষণের পাশাপাশি দলকে আরও সংগঠিত করার বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।