এ দিন গঙ্গাসাগরে রাজ্যের প্রাক্তন দুই আইএএস অফিসার এইচ কে দ্বিবেদী এবং আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবসরের পরেও রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁরা যোগ্য লোক তাঁদের আমরা ৬০ বছর হলেই বিদায় দিই না৷ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাই৷ দ্বিবেদী চিফ সেক্রেটারি ছিল৷ আলাপনও মুখ্যসচিব পদে ছিল৷ এখন গোপালিকা রয়েছে৷ তিনজনকেই আমরা এক জায়গায় আনতে পেরেছি৷ এটা কিন্তু রাজ্য সরকারের একটা বড় কাজ৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘কুম্ভমেলায়’ কেন্দ্র সাহায্য দেয়, আর ‘গঙ্গাসাগরে’…? নামখানায় গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী
এইচ কে দ্বিবেদী কয়েকদিন আগেই মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নিয়েছেন৷ বর্তমানে তিনি আর্থিক বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদে কাজ করছেন৷ আবার মুখ্যসচিব পদে তাঁর পূর্বসূরি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের উপদেষ্টা পদে রয়েছেন৷
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন এই মন্তব্য সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ক্ষেত্রকে নিয়ে করেছেন৷ আর গতকাল ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমি বলেছি বয়স হলে কর্মক্ষমতা কমে৷ এটা সত্যি কথা৷ এটা আপনাকে মানতে হবে৷ আজকে আমার ৩৬-৩৭ বছর বয়স, কুড়ি-তিরিশ বছর পর তো আমার কর্মক্ষমতা আরও কমবে৷ এটা তো ধ্রুব সত্য৷ এটাই আমি বলতে চেয়েছি৷ প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য৷’
গত ২৮ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বৈঠকে গিয়ে বলেছিলেন, সিনিয়র নেতাদের যোগ্য মর্যাদা দিতে হবে৷ মনে রাখতে হবে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে৷