সংশোধনাগার সূত্রে খবর, এদিন ভোররাতে ওয়ার্ডে জানলার সঙ্গে গামছার ফাঁস বাঁধা অবস্থায় তাকে ঝুলতে দেখা যায়। সংশোধনাগারে মৃত্যুর খবর পেয়ে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সংশোধনাগারের যান। নিয়মমাফিক মৃতদেহ পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। খবর দেওয়া হয় পরিবারের লোকজনকে। পরে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এদিকে জেলা সংশোধনাগারের মধ্যেই বিচারাধীন বন্দির দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। জেলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অন্যান্য বন্দিদের পরিবারের লোকজনও । তাঁদের অভিযোগ, সঠিক নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে কখনই এভাবে মৃত্যু সম্ভব নয়৷
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সুকুমার মণ্ডল বামনগোলা থানার নন্দীনাদহের নয়াপাড়ার বাসিন্দা। মৃত ব্যক্তি পেশায় কৃষিজীবি। তার বিরুদ্ধে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। ওই নাবালিকা অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে বলেও অভিযোগ। এরপর পরিবারের লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত রবিবার সুকুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার মালদা জেলা আদালতে পেশ করার পর বিচারক তার জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এরপর মঙ্গলবারই তাঁকে মালদা জেলা সংশোধনাগারে আনা হয়৷
মঙ্গলবার রাতে সংশোধনাগারের দোতালা ভবনে অন্যান্য কয়েকজন বন্দীর সঙ্গে ছিল সুকুমার । এরপর সকালে জানলার লোহার রডের সঙ্গে গামছার ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখা যায় তাঁকে । গ্রেফতার হওয়ার পর পরিবারের লোকজনও তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে মালদা জেলা সংশোধনাগারে আসেন স্ত্রী রেখা মণ্ডল। জেলের ভিতরে মৃত্যুর ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত দাবি করেন তিনি।
(সেবক দেবশর্মা)