রুক্ষ আবহাওয়ায় তেমন উল্লেখযোগ্য চাষ-আবাদ নেই জঙ্গলমহলে, সেই কারণে এই মহুল ফুলই প্রান্তিক মানুষগুলোর জীবন-জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হয় ওঠে, যা সত্যিই এই মানুষগুলোর কাছে মুক্তোর সমান। ঝুড়িতে মহুল ফুল কুড়িয়ে দুলকি চালে বাড়ি ফিরে আসেন আদিবাসি মা বোনেরা। সেই ফুল এবার কড়া রোদে শুকিয়ে কেজি দরে বিক্রি করেন তারা, এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে যা নিতান্তই কম। সরকারিভাবে কোনও মূল্য নির্ধারণ না করার কারণে লাভবান হন না ব্যবসায়ীরা। তবে অসময়ে বিক্রি করলে একটু বেশি দাম পাওয়া যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: মুকুটমণিপুরে যাওয়ার প্ল্যান? আপনার জন্য রয়েছে বড় চমক, জেনে নিন বিস্তারিত
মহুল ফুল সুগারে পরিপূর্ণ, এতে রয়েছে মিনারেল ও ভিটামিন। এই ফুলের নির্যাস থেকে এক বিশেষ ধরনের অ্যালকোহল সমৃদ্ধ পানীয় বানানো হয়ে থাকে, যা ট্রাইবাল জনগোষ্ঠীর অন্যতম এক পানীয়। এছাড়া এর ফল কাঁচা অবস্থায় রান্না করে খাওয়া হয়। পরিপক্ক অবস্থায় এই ফলের বীজ থেকে তেল প্রস্তুত করা হয় যা স্থানীয়ভাবে ‘কচড়া তেল’ নামে প্রসিদ্ধ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অনেকেই বলেন যে কচড়া তেল জয়েন্টের ব্যথা, মাথা ব্যথা, সর্দিকাশি ও কৃমি নিরাময়ে উপসমদায়ক। এছাড়াও যেকোনও ক্ষত নিরাময়ে ও কীট-পতঙ্গ কামড়ালে ব্যবহৃত হয়ে থাকে এই তেল। এই গাছ জঙ্গলমহলের জনজীবনে এক মহীরুহ সমান।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





