এই পরিস্থিতিতে ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুলিশের পক্ষ থেকে ফুল টার্ম পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হতে চলেছে আদালতে।রবিবার সকালে ধৃতদের নিয়ে ৩১ ঘণ্টা ট্রেন জার্নি করে মুম্বই থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছয় রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশের টিম। এদিন সকাল থেকেই রবীন্দ্রনগর থানায় অ্যাডিশনাল এসপি হেডকোয়ার্টারের উপস্থিতিতে পাঁচজন অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসিয়ে চলছে জেরা। প্রত্যেকের পূর্বের বয়ান ও ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে তুলনা করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে কোন কোন তথ্য অসঙ্গতিপূর্ণ। তদন্তের গতি ত্বরান্বিত করতে তৎপর প্রশাসন।
advertisement
উল্লেখ্য, ইসলামপুর থানার ছোঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা ১৪ বছরের কিশোর সামসাদ আলি কাজ করতে গিয়েছিল মহেশতলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায়। অভিযোগ, মোবাইল চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে কারখানার ভিতরে উল্টে ঝুলিয়ে মারধর করা হয়। এমনকি বিদ্যুৎস্পৃষ্টও করা হয় তাকে।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ। তারপর বুধবার দু’জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। তারপরে বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে শাহেনশা-সহ তার আরও দুই সাগরেদ গ্রেফতার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তারপর থেকেই বয়ানে বারংবার ধৃতরা দাবি করেছে এই ঘটনার পরে ভিডিও ভাইরাল হওয়া শুরু হতেই তারা সেই কিশোরকে ছেড়ে দিয়ে গা ঢাকা দেয়। কিন্তু ঘটনার পরে ৯ দিনের বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও সেই কিশোরের খোঁজ মেলেনি। বর্তমানে পুলিশি জেরার মুখে একাধিক অসঙ্গতি সামনে আসছে। তদন্তে নামানো হয়েছে অভিজ্ঞ অফিসারদের টিম। খুব শিগগিরই এই নৃশংস কাণ্ডে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে পুলিশের তরফে।