রবিবার সকালে স্থানীয় গদাধর জমাদারের সঙ্গে পূরবী গোপ-সহ আরও অনেকে যান কুম্ভতে পূণ্যস্নানে। ট্রেনে করেই তাঁরা যান। পরেরদিন অর্থাৎ সোমবার তাঁদের পূণ্যস্নান করার কথা ছিল। স্নানঘাট পর্যন্ত সকলে একসঙ্গে থাকলেও তারপরই হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান পূরবী গোপ। চিন্তায় রয়েছে তাঁর পরিবার। জানা গিয়েছে ওই গ্রামের আরও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁর নাম গুরুদাসী সিং। তাঁরা একসঙ্গেই ট্রেনে করে কুম্ভস্নানে গিয়েছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: মাথায় দলা দলা খুশকি ভরে যাচ্ছে? ভরসা রাখুন এই ‘একটি’ জিনিসে! জানুন ডাক্তারের পরামর্শ
এদিকে, মহাকুম্ভে গিয়ে নিখোঁজ কাঁথির বাসিন্দা প্রণব জানা। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির জুনপুট কোস্টাল থানা এলাকার ছোট বাঁধ তলিয়ার বাসিন্দা তিনি (বয়স ৭৫)। ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় কেটে গেলেও খোঁজ নেই তাঁর। তাই চিন্তায় উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের লোকজনেরা। ইতিমধ্যে মহাকুম্ভের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন নিখোঁজ ব্যক্তির ছেলে আনন্দ জানা। এমনকী তিনি কাঁথির সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সৌমেন্দু অধিকারী ওখানকার প্রশাসনকে মেইল করে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: হড়হড়িয়ে বেরিয়ে আসবে ময়লা, বাড-কাঠি দিয়ে কানে না খুঁচিয়ে এই একটি কাজ করুন! পুরো ম্যাজিক
গত সোমবার কলকাতার আত্মীয় বলাই দাসের পরিবারের সঙ্গে পবন কুমার জানা কুম্ভমেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। গত মঙ্গলবার গাড়িতে সমস্ত পোশাক রেখে স্নানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। আত্মীয়র অন্যান্য লোকেরা ফিরে এলেও এখনও পর্যন্ত পবন কুমার জানার কোনও খোঁজ নেই। ঘনঘন সেখানে মাইকিংয়ে প্রচার হয়েছে, এখনও পর্যন্ত পরিবারের লোকেরা তাঁর খোঁজ না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার ভোরে মহাকুম্মের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তাঁর ছেলে। আনন্দবাবু জানান, ‘বাবার খোঁজ না পাওয়ায় ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়েছি। তাই মহাকুম্ভের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি, জানি না বাবাকে আর ফিরে পাব কিনা। তবে সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।’
সুজিত ভৌমিক