তাঁর নাম পুষ্প হাজরা। বয়স ৬৮ বছর। মেমারির শ্রীদুর্গাপল্লীর বাসিন্দা। ১৪ ফেব্রুয়ারি বেনারসে যান ছোট ছেলে আনন্দ হাজরার সঙ্গে। এরপর প্রয়াগরাজে গিয়ে কুম্ভস্নান করেন। সেখান থেকে যান অযোধ্যায়। মঙ্গলবার মন্দির চত্বরে লাইনে দাঁড়িয়েছিল। ঠেলাঠেলিতে মা ও ছেলে আলাদা হয়ে যায়। তার পর থেকে তাঁর আর কোনও হদিশ নেই। ছেলে আনন্দ পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে নিখোঁজের পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত হদিশ মেলেনি। উৎকন্ঠায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
advertisement
ছেলের সঙ্গে কুম্ভ স্নান সেরে অযোধ্যার রামমন্দির দর্শনে গিয়ে মন্দির চত্বর থেকেই নিখোঁজ মা। মাকে অযোধ্যায় খুঁজতে হন্যে হয়ে ঘুরছে ছেলে। নিখোঁজ সংক্রান্ত পোস্টার সাঁটালো পুলিশ। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মেমারির শ্রীদুর্গাপল্লীর বাসিন্দা পুষ্প হাজরা ছোট ছেলে আনন্দকে নিয়ে মহাকুম্ভে যান। মহাকুম্ভে স্নান সেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির দর্শনে যান।
আরও পড়ুন : বন্যা দুর্যোগে কেন্দ্রীয় সাহায্য পেল পড়শি রাজ্য, কিন্তু বাংলার জন্য মিলল না অর্থ
নিখোঁজ পুষ্প হাজরার বড় ছেলে প্রশান্ত হাজরা জানান, ‘‘প্রথমে মা ও ভাই বেনারস যান এবং সেখান থেকে গিয়েছিলেন মহাকুম্ভে। মহাকুম্ভে স্নান করেন। তারপর তাঁরা অযোধ্যায় যান রামমন্দির দর্শন করতে। সেখানেই ১৮ ফেব্রুয়ারি ভিড়ের মধ্যে লাইন থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মা।’’ মাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন তার ছোট ছেলে আনন্দ হাজরা। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে পুষ্প হাজরাকে খুঁজতে মাইকিং-এর পাশাপাশি পোস্টারও লাগানো হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। এদিকে এখনও পর্যন্ত মাকে খুঁজে না পেয়ে চিন্তায় পরিবার। কীভাবে তিনি হারিয়ে গেলেন তা বুঝতে পারছেন না কেউই। খুব তাড়াতাড়ি তাঁর হদিশ মিলবে এই আশায় রয়েছে পরিবার।