কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুরাণে বর্ণিত দেব-অসুর সংঘর্ষ এবং সমুদ্র মন্থনের আখ্যানের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হচ্ছে এবারের থিম। কথিত আছে, দেবরাজ ইন্দ্র দুর্বাসা মুনির নিবেদন করা পুষ্পমালা গ্রহণ করতে অস্বীকার করলে, রুষ্ট হয়ে মুনি অভিশাপ দেন। ফলে দেবতারা ধীরে ধীরে শক্তি হারান এবং অসুরেরা স্বর্গ অধিকার করে নেয়। পরে বিষ্ণুর পরামর্শে সমুদ্র মন্থনের মাধ্যমে অমৃত লাভের চেষ্টা হয়।
advertisement
সেই অমৃতের চার ফোঁটা পৃথিবীর চার স্থানে- হরিদ্বার, প্রয়াগ, ত্রয়ম্বক (নাসিক) এবং উজ্জয়িনীতে পড়ে। সেই স্থানগুলিতেই আজও কুম্ভ মেলা আয়োজিত হয়। অমৃতের কলসকে বলা হয় কুম্ভ। বিশ্বাস, এই মেলায় পূণ্যস্নান করলে মানুষের মোক্ষলাভ হয়। কমিটির শিল্পীদের দাবি, এই পৌরাণিক কাহিনীকে নিখুঁত আবহ ও রূপকল্পে মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
এবছর ২০২৫ সালের কুম্ভ যোগ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ ১৪৪ বছর পর এমন এক মহাযোগ ঘটেছে। তাই কুম্ভকে কেন্দ্র করেই তৈরি হচ্ছে গোটা পুজোর আবহ। উদ্যোক্তাদের মতে, গবেষক অ্যালান মোরিনিস অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের থিসিসে কুম্ভ মেলার উৎস ও তাৎপর্য লিপিবদ্ধ করেছিলেন। সেই গবেষণা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এবারের এই শিল্পকল্প সাজানো হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এবারের এই পরিকল্পনাকে ঘিরে রীতিমত উচ্ছ্বসিত। প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকার অধিক বাজেটের এই মহাকুম্ভ দর্শনে কেমন ভিড় হয় এখন সেটাই দেখার।