বেলা দশটা থেকেই টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিল পরিবারের সকলেই। সেখানে প্রথম স্থানাধিকারী হিসাবে অরিত্র নাম ঘোষণা হতেই বাঁধভাঙা উল্লাসে আনন্দ প্রকাশ করেন সকলেই। অরিত্র বলছিল, আমি প্রথমটা বুঝে উঠতে পারিনি। দেখি বাবা মা দুজনেই আনন্দে নাচানাচি করছে। আমাকে জড়িয়ে ধরে নাচানাচি করছিলেন তাঁরা। বিস্ময় কাটিয়ে বিষয়টা বুঝে ওঠার পর আমার চোখ দিয়ে জল চলে আসে। বাবা-মাকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এত আনন্দ দিতে পারার জন্য ভীষণ ভালো লাগছে।
advertisement
মেমারি শহরের শ্রী দুর্গা পল্লী এলাকার বাসিন্দা অরিত্র। বাবা গনেশ চন্দ্র পাল প্রাক্তন সেনা কর্মী। মা চন্দনা পাল প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। অরিত্র বলছিল, ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের কাছে পড়ি। বাবা অংক সহ বিজ্ঞানের বিষয়গুলো দেখিয়ে দিতেন। বাকি বিষয়গুলো মা পড়াতেন। এছাড়াও কয়েকজন গৃহশিক্ষক ছিলেন। স্কুলের শিক্ষকরা যথাসাধ্য সহযোগিতা করেছেন। তাঁরা সব সময় আমার যাতে ভালো ফল হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতেন। ফল প্রকাশের পরই বাড়িতে ভিড় করতে শুরু করেন আত্মীয় পরিজন এলাকার বাসিন্দা জনপ্রতিনিধি সকলেই। ফোন করে শুভেচ্ছা জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বাড়িতে এসে শুভেচ্ছা জানিয়ে যান। মেমারি থানার পুলিশ কর্মী অফিসাররাও তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যায়। বাড়িতে আসেন বিধায়ক নার্গিস বেগম। মেমারি পুরসভার পক্ষ থেকেও তাকে সম্বর্ধনা জানানো হয়।